তবে শুধু সরলীকরণ নয় পরীক্ষা নিয়েও যে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে এদিন সেটাও বুঝিয়ে দিলেন নয়া সভাপতি। তিনি বলেন "উচ্চমাধ্যমিকে একটাই নির্ণায়ক পরীক্ষা হবে এই ধারণা এখন অনেক জায়গা থেকেই উঠে গেছে। অনেকেই এখন ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার দিকে এগোচ্ছে। একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে ও ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"
advertisement
গত শুক্রবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নয়া সভাপতি হিসেবে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। উচ্চ মাধ্যমিক ফল প্রকাশের বিতর্কের জেরে সরানো হয়েছে প্রাক্তন সভাপতি মহুয়া দাস কে।মূলত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরপরই রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। পরীক্ষা না দিয়েও কিভাবে ফেল সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা। যদিও পরে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফের ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের নতুন করে সংশোধিত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। শুধু তাই নয় সংসদের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয় ১০০ শতাংশই পাস করেছে উচ্চমাধ্যমিকে। যদিও এদিন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নয়া সভাপতি বুঝিয়ে দেন উচ্চমাধ্যমিকের সমস্যা নিয়েও গুরুত্ব দিতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে নয়া সভাপতি এদিন বলেন " বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখেছি উচ্চমাধ্যমিকে কিছু কিছু সমস্যা আছে। তাই আমাকে বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।"
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। যে মূল্যায়ন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হয়েছে সেই মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের নিয়ে বেশকিছু যে পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে তার ইঙ্গিত এদিন দিয়ে দেন নয়া সভাপতি। এদিন তিনি বলেন " সামনের বছরের জন্য ভাবতে হবে আমাদের। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও নিতে হবে আমাদের।" অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের সায়েন্স বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা যাতে বিভিন্ন রাজ্যের ও দেশের বোর্ড গুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে যেতে পারে সেই বিষয়েও প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানান নয়া সভাপতি। এদিন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মহুয়া দাস দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন নয়া সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে।
SOMRAJ BANDOPADHYAY