দ্বিতীয় ঘটনাটি হয়েছে মালদহের ইংরেজবাজারের রায়গ্রাম হাইস্কুলে। জানা গিয়েছে, মালদহের ইংরেজবাজারের নঘরিয়া হাইস্কুলের ছাত্রদের পরীক্ষা কেন্দ্র হয় ইংরেজবাজারের রায়গ্রাম হাইস্কুল। এখানে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাথরুমে মাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা বাইরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে পাচার করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ধরা পড়ে। ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্তে ওই স্কুলে পৌঁছন মালদহের মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং। ওই পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।
advertisement
এরপর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি পর্ষদে জানানো হয়। পর্ষদের নির্দেশ মতো ওই ছাত্র-র পরীক্ষা বাতিল করে অভিভাবককে ডেকে তাকে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকের বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল ওই ব্লকেরই বেদরাবাদ হাইস্কুলে। সেখানেও প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মোবাইলে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে এক পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন, ‘ভোট-অন-অ্যাকাউন্টের মতোই অন্তবর্তী বাজেট পেশ হয়েছে,’ বললেন অর্থমন্ত্রী
আদতে বৈষ্ণবনগরের খেজুরিয়া ঘাট এলাকার একটি বেসরকারি মিশন স্কুলের ওই পড়ুয়া এবার চামাগ্রাম হাইস্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে। তাকেও মোবাইল সহ পাকড়াও করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও এই দু’টি ঘটনাতেই পরীক্ষা কেন্দ্রের নজরদারির ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, এবার পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা আগে থেকেই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
পাশাপাশি প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য তল্লাশির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে। এমনকী মোবাইলসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা রুখতে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়। এরপরও মোবাইলসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের ঘটনা নজরদারির অভাবকেই প্রকাশ্যে এনেছে। তাই, এই দুটি ঘটনাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে পর্ষদ।
