ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, সোমবারই মূল্যায়ন সম্পর্কিত বিস্তারিত সিদ্ধান্ত রাজ্য নিয়ে ঘোষণা করে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কীভাবে মূল্যায়ন করে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও। দুই বোর্ডের মূল্যায়নের রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তারিতভাবে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।
advertisement
নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর ও দশম শ্রেণির ইন্টার্নাল পরীক্ষার নম্বরের নিরিখেই ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দিতে চায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অন্তত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এমন প্রস্তাবই জমা দিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে৷ বতবে এক্ষেত্রে গাণিতিক ফর্মুলা ব্যবহার করেই নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির বার্ষিক নম্বরের তুলনায় মাধ্যমিকের নম্বরের অনেকটাই ফারাক হবে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। শুধু তাই নয় ছাত্রছাত্রীরা তাদের নির্দিষ্ট গ্রেড জানতে পারবে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীও রিপোর্টে সন্তুষ্ট হলেও সূত্রের খবর।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি রিপোর্ট জমা দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও। সূত্রের খবর রিপোর্টে মাধ্যমিকের নম্বরকেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল এবং ইতিমধ্যেই সংসদে জমা পড়া উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল ও প্রোজেক্ট ওয়ার্ক এর নম্বরের নিরিখেই ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। সে ক্ষেত্রে সংসদের প্রস্তাবকে কতটা এবং কীভাবে কার্যকরী করা হবে তা নিয়ে সংশয় থাকছে। কারণ গত বছর করোনা পরিস্থিতির জেরে একাদশ শ্রেণির একাধিক বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের দ্বাদশ শ্রেণিতে তুলে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। ফলত এক্ষেত্রে কীভাবে মূ্ল্যায়ন সম্ভব- তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে সোমবারই মূল্যায়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেই মনে করছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ।
Somraj Bandopadhyay