উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কারণে ১১ জুলাইয়ের পরিবর্তে পরীক্ষা হতে চলেছে ১৭ জুলাই। কঠোরভাবে কোভিডবিধি মেনে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পারস্পরিক দূরত্বে ছাত্র-ছাত্রীদের বসিয়ে খাতায় কলমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। চলতি বছরে ৯২ হাজার ৬৯৫ জন পরীক্ষার্থীর রাজ্যের জয়েন্টে বসার কথা। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ ভিন রাজ্যের। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ২৭৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এ রাজ্য এবং ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা যাতে বাড়ির কাছের সেন্টারে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার সময় কঠোরভাবে করোনাবিধি মানতে হবে। একটি ঘরে ২০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী বসতে পারবে না। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা সেন্টার-ইন-চার্জদের পাঠিয়ে দিয়েছে বোর্ড।
advertisement
জয়েন্টের ফল প্রকাশিত হবে ১৪ আগস্টের মধ্যে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিন দফায় কাউন্সেলিং শেষ করা হবে। জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের অধীনে নার্সিংয়ের প্রবেশিকা-সহ আরও ১০টি পরীক্ষা নেওয়া হবে। নার্সিংয়ে প্রবেশিকা হওয়ার কথা ছিল ৪ জুলাই। এই পরীক্ষা হবে ৩১ জুলাই। গতবছর কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই পরীক্ষা নিয়েছিল জয়েন্ট বোর্ড। সাধারণত পরীক্ষা নেওয়া হয় এপ্রিল মাসে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি, ফার্মেসি ও আর্কিটেকচারে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।
প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিছু আসন খালি থেকে যায়। সেই সমস্যা মেটাতে গতবছর এপ্রিল মাসের পরিবর্তে উচ্চমাধ্যমিকের আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরই করোনার প্রকোপ দেখা দেয়। আর সেই কারণে এবারের পরীক্ষা এত দেরিতে নিতে হচ্ছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে যাতে সহজে ছাত্রছাত্রীরা সময়মতো পৌঁছতে পারেন তাই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যাতে বিধিনিষেধের মধ্যেও স্টাফ স্পেশাল ট্রেনগুলিতে পরীক্ষার্থীদের উঠতে দেওয়া হয়। এরপরেই সিদ্ধান্ত জানায় রেল।