উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে বুধবার নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে ,"অধ্যাপক সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব আচার্যর কাছে গত ১৭ই জুন ও ২২শে জুন পাঠানো হয়। কিন্তু আচার্য তথা রাজ্যপাল উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে দেওয়া প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এবং উপাচার্যের পদ যাতে শূন্য হয় পড়ে না থাকে তার জন্যই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুরঞ্জন দাস এর মেয়াদ দু বছর বাড়ানো হবে।"
advertisement
প্রসঙ্গত এর আগে ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসেবে অনুরাধা লোহিয়ার নাম প্রস্তাব আকারে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলো রাজ্যপাল সেই ফাইল অনুমোদন দেয়নি।যার জেরে উচ্চশিক্ষা দফতরও ঠিক একই ভাবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসেবে অনুরাধা লোহিয়ার দু-বছরের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের মতে, শুধু যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সি নয়, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ তথা মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যতিক্রম ঘটনা হলে তাতে কোনো অবাক হওয়ার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর ও উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আইন সংশোধন করেছে। নয়া আইনে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয় একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে রাজ্যপালের ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও।যা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফলত আগামীদিনেও উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে আরও তীব্র হবে সেটাই আঁচ করছেন উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাস এবং জুলাই মাসে একাধিক উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
-সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়