সংসদের এই ঘোষণাকে ঘিরেই একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক- প্রধান শিক্ষিকারা। কারণ, গত বারের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের নম্বর ইতিমধ্যেই সংসদে পাঠিয়েছে বিভিন্ন স্কুল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে একাদশ শ্রেণির একাধিক বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পারেনি স্কুলগুলি। বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার জেরে সেই বিষয়গুলির কোনও নম্বরও দিতে পারেনি স্কুলগুলি। তাই সেই বিষয়গুলির মূল্যায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা।
advertisement
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বার উচ্চমাধ্যমিকের মতো একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রেও ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন, অ্যাকাউন্টেন্সি, কেমিস্ট্রি, ইকোনমিক্স, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্শিয়ান, আরাবিক, ফ্রেঞ্চ, স্ট্যাটিসটিকস, জিওগ্রাফি, কস্টিং অন্ড ট্যাক্সেশন, হোম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলির পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। আর তাই এই বিষয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে পাঠাতে পারেনি বিভিন্ন স্কুল ।
বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের প্রিন্সিপাল সুনীতা সেন বলেন, 'আমাদের তখন যে বিষয়গুলির পরীক্ষা হয়নি সেই বিষয়গুলির নম্বর সংসদ পাঠাতেও বলেনি। তাই আমরা নম্বরও পাঠাইনি। এখন আমরা এটা ভেবে চিন্তিত যে এই বিষয়গুলির মূল্যায়ন কীভাবে হবে? ছাত্রীরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।'
যদিও এই বিষয় নিয়ে অবশ্য কিছুটা হলেও সংসদকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'সংসদের বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত ছিল। একাদশ শ্রেণিতে যে বিষয়গুলির পরীক্ষা হয়নি সেই বিষয়গুলির নম্বর কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা আমাদের কাছে আসেনি।' কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের তরফেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা না হওয়া বিষয়গুলির মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
যদিও এই বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, 'গতবার করোনা পরিস্থিতির কারণে উচ্চমাধ্যমিকের বেশ কিছু বিষয়ের পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীরা দিতে পারিনি। সেই বিষয়গুলো নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যে ফর্মুলা ব্যবহার করেছিলাম ঠিক একইভাবে একাদশ শ্রেণিতে যে বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া যায়নি সেই বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও এইভাবেই নম্বর দেওয়া হবে।'
এ ক্ষেত্রে গতবার উচ্চমাধ্যমিকে কোন ছাত্র বা ছাত্রী যে বিষয়ে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছিল, সেই নম্বরটি পরীক্ষা না হওয়া বিষয়গুলিতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ঠিক একইভাবে এই নীতিঅনুসরণ করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Somraj Bandopadhyay