একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যকে বিধি রূপায়ণ করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত স্কুলে হাইকোর্টের এই নির্দেশ পৌঁছে দিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল শিক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় রাজ্যের প্রতি স্কুলে এই নির্দেশ পৌঁছে দেবেন।
আসলে, এনওসি টালবাহানায় বছরের বছর ভুক্তভোগী হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বদলির ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট স্কুলে এনওসি চেয়ে আবেদন করবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই আবেদন মঞ্জুর করার প্রশ্নে কোনও সময়সীমা নির্দিষ্ট করা ছিল না। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরেরও কোনও বিধি নেই এই মর্মে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই হয়রানির মুখে পড়তে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। আর সমস্যা বাড়তে থাকায় হাইকোর্টে জমে মামলার পাহাড়। আর এতেই বিরক্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই সমস্যার আশু সমাধানে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে বিধি তৈরি করতেও পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্টের।
advertisement
২০১৯ সালে বদলির জন্য রানিগঞ্জের গান্ধি মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের কাছে এনওসি চেয়ে আবেদন করেন বাংলার শিক্ষিকা অপর্ণা মুন্সি। তিনি হুগলির ভদ্রেশ্বরের স্কুলে বদলির জন্য এনওসি চান। স্কুল তা না দেওয়ায় মামলা হয় হাইকোর্টে। ২ বছর পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই সোমবার কড়া নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
২ বছর ধরে মামলার জটে নাজেহাল শিক্ষিকাকে কুড়ি হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দু' সপ্তাহের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দিতে হবে স্কুলকে। শিক্ষিকা অপর্ণা মুন্সি'র আইনজীবী উজ্জ্বল রায় জানান, 'হাইকোর্টের এমন নির্দেশের সুবিধা এখন সবাই পাবেন। ২ বছর ধরে যেভাবে স্কুল বিষয়টি নিয়ে অযথা হয়রান করেছে তা আর ভবিষ্যতে কারও ক্ষেত্রে হবে না বলেই আশা করি।' বদলি সংক্রান্ত জটিলতায় এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে বহু মামলা চলছে। তেমনই একটি মামলার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, 'হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর শিক্ষা দপ্তর বিধি তৈরি করলে অনেক মামলাই আর হবেনা। সমস্যার আশু সমাধান হবে৷'