সরকারের তরফে এই যে অনুরোধ করা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহেই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের উপরে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু কার্যত সরকারও অসহায়, দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে এই অনুরোধ একরকম বাধ্য হয়েই করতে হয়েছে। সেই বাধ্যবাধকতার কারণটিও অনুরোধপত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের তরফে। জানা গিয়েছে যে আপাতত এক দিকে স্কুলগুলো জুড়ে যেমন কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনেশনের কাজ চলছে, তেমনই শিক্ষকেরাও ব্যস্ত রয়েছেন জরুরি পরিষেবা প্রদানের কাজে। শিক্ষকদের একটি বড় অংশ এখন এই সব ভ্যাকসিনেশন সেন্টার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন, একই সঙ্গে আবার তাঁরা সরকারি নির্দেশে করোনা-বিধ্বস্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে নানা সমীক্ষা পরিচালনা করছেন।
advertisement
এই সমীক্ষার মূল লক্ষ্য একটাই- রোগের যাতে সুচিকিৎসা হয়! এই সব রেড স্পটে এখন শিক্ষকেরা গৃহবন্দী মানুষের মেডিক্যাল টেস্টের ব্যবস্থা করছেন, একই সঙ্গে সমীক্ষা চালাচ্ছেন কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের বিষয়টিতেও। অর্থাৎ রোগীর সান্নিধ্যে যাঁরা এসেছিলেন, সেই সব লোকজনদের খুঁজে বের করে তাঁদের সচেতন করা এবং মেডিক্যাল টেস্টের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হচ্ছে। তাঁরা রোগীর বাড়িতে ওষুধ এবং খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। এখানেই শেষ নয়, করোনায় মৃত রোগীর দেহ যাতে শ্মশানে পৌঁছয় এবং নিয়ম মতে দাহ হয়, সেই দিকটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে তাঁদের। শববাহী গাড়ি ডেকে আনা থেকে অন্ত্যেষ্টির সবটুকুই সম্পন্ন হচ্ছে তাঁদের তদারকিতে।
দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে এর আগে CBSE বোর্ড ১৪ এপ্রিল ঘোষণা মারফত দশম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছিল এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা স্থগিত রেখেছিল। দেখা যাক সরকারের অনুরোধে এবার বোর্ড কী পদক্ষেপ করে!