এই প্রথম নজিরবিহীনভাবে D.El.Ed. পরীক্ষায় রাজ্য প্রশাসনকে সরাসরি যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে, প্রশ্নপত্র নিয়ে যদি কোনও অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলেও নির্দেশিকা জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার- পুলিশ কমিশনারদের। মূলত ডি.এল.এড পরীক্ষা নিয়ে শেষ দিন যাতে কোনও বিতর্ক বা অভিযোগ না ওঠে তার জন্য প্রশ্নপত্র দেওয়ার সময়সীমা কমিয়ে আনা হল বলেই মনে করছে আধিকারিকদের একাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন- আবাস যোজনায় বাড়ি মিলবে কবে? চলো গ্রামে যাই কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন
প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই ডি.এল.এড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে কীভাবে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হল তা নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিআইডি গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের কাছ থেকেও সিআইডি বেশ কিছু নথি চাইতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে সিআইডির আধিকারিকরা কথা বলে গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করবেন বলে সূত্রের খবর।
এক্ষেত্রে পর্ষদ কোন কোন জায়গা গুলিকে চিহ্নিত করছে তা তদন্ত করার জন্য সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল দাবি করেছিলেন এটাকে কোনওভাবেই প্রশ্ন ফাঁস বলা যায় না। তবে এদিন ডি.এল.এড পরীক্ষা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- গোল তুমি কার? গোল নিয়ে বেঁধেছে যত গোলমাল! রেফারির সিদ্ধান্তের পরেও রোনাল্ডোর গোল চাই
এদিন ডি.এল.এড প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে বা পরীক্ষার পরেও কোনওভাবেই সোশ্যাল সাইটে যায়নি বলেই দাবি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা। সবমিলিয়ে পরীক্ষার শেষ দিনেও ডি.এল.এড পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোনও বিতর্ক চাইছে না পর্ষদ ৷