শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেন, ‘‘আমরা দ্বৈরথ চাই না, পাশাপাশি কাজ করতে চায় রাজ্য সরকার৷’’ প্রসঙ্গত রাজমহলের তরফে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল এর আগাম অনুমোদন নিতে হবে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে। পাশাপাশি নির্দেশে এও জানানো হয়েছে উপাচার্যরা সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই নির্দেশে বলা হয়েছে বিশেষ দরকারে রাজ্যপালের এডিসি মাধ্যমেও আচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন উপাচার্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন-অসমের ডিব্রুগড় ইউনিভার্সিটি ময়দানে আয়োজিত যোগা মহোৎসবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যপালের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয় দেখবেন একজন সিনিয়র আইএস অফিসার তার নামও পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে। আর তা নিয়েই রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কে নয়া সমীকরণ শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পরশুদিন শুনেছিলাম। এর কোনও আইনি ভিত্তি নেই। আইনি পরামর্শ করে দেখব। দু-একদিনে আইনি পরামর্শ চলে আসবে। রাজভবন থেকে যে চিঠি গিয়েছে, সেটা প্রত্যাহার করতে বলব। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা নষ্ট হয়। রাজভবনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক ‘প্রতিযোগী’ নয়।’’ প্রসঙ্গত রাজ্যের তরফে রাজ্যপালের সঙ্গে যে এই বিষয় নিয়ে সংঘাতে যেতে চাইছে না, তা নিয়ে এদিন সেই অবস্থানে স্পষ্ট করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী বলেই মনে করা হচ্ছে।
বরং আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান মেটাতে চায় রাজ্য বলেই এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা বিষয় নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে রাজ্য। তবে এই প্রসঙ্গ নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপালদের নামও উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা গোপালকৃষ্ণ গান্ধিকে দেখেছি। ধনখড়কে দেখেছি, এম কে নারায়ণন বা কেশরিনাথ ত্রিপাঠির মত কথা না বলা লোককেও দেখেছে। উনি যা বলতে চান পরিষ্কার করে বলতে পারেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’’ এই চিঠি প্রত্যাহারের কথা উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে লিখিতভাবে জানানো হবে রাজ্যপালকে বলেই দফতর সূত্রে খবর। তবে তা করা হবে আইনি পরামর্শের পরেই বলে জানা গিয়েছে।