সোমবার সংসদে “সরকারি পরীক্ষা অনিয়ম প্রতিরোধ বিল” পেশ করা হয়েছে। এই দিলে ইউপিএসসি, স্টাফ সিলেকশন কমিশন, রেল, ব্যাঙ্ক, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস এ ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে আইনে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে কখনো চাকরির পরীক্ষায় ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, আবার কখনো বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
advertisement
এবার তাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র এই কড়া নিয়ম আনতে চলেছে। এই দিলে বলা হয়েছে রাজ্যগুলি চাইলে এই আইনের খসড়া কে মডেল করে এইরকম আইন চালু করতে পারে। তাতে রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি মূলক অপরাধ আটকাতে পারবে। সরকারি পরীক্ষা অনিয়ম প্রতিরোধ বিলে ১৫ রকমের অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও তার ফাঁসের চক্রান্ত, প্রশ্নপত্র বা ওএমআর শিট জোগাড় করা, উত্তর ফাঁস, পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় কারচুপি, জাল এডমিট কার্ড বিলি, পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সাহায্য, সহ একাধিক অপরাধ রয়েছে। সবই দণ্ডনীয় জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেই এই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সব ক্ষেত্রেই ন্যূনতম তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ লক্ষ টাকার জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন মহলের দাবি একাধিক রাজ্যেই সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষা বাতিল হয় বা অনেক ক্ষেত্রেই সময় মতো ফল প্রকাশ করা যায় না। তার খেসারত দিতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। এই বিল এনে এই ধরনের অপরাধচক্র কে আটকানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এতদিন এই ধরনের কোন আইন ছিল না। তবে লোকসভা ভোটের মুখেই কেন এই ধরনের আইন আনল তড়িঘড়ি কেন্দ্র সরকার? তা নিয়ে অবশ্য দিল্লির রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে উত্তাপ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়