প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘিরে ভারতের বেশ কিছু রাজ্য আপত্তি জানিয়েছিল। এই তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল-সহ বেশ কিছু অবিজেপি শাসিত রাজ্য। কেন্দ্রের নির্দেশে দেশের অনেক রাজ্যে নতুন শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন হলেও বাংলা, তামিলনাড়ু এখনও নিজেদের পুরনো অবস্থানেই অনড়। শুরু থেকেই তাদের বক্তব্য ছিল, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা যৌথ তালিকাভুক্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার সঙ্গে ঝালমুড়ি বিক্রি করে উচ্চমাধ্যমিকে ৯৩% নম্বর শ্রীরামপুরের সৌভিকের
তবে, নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা কেন্দ্র সম্পূর্ণ এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা একরকম সংবিধান বিরোধী বলে দাবি করেছিল রাজ্যগুলি। ওই রাজ্যগুলিতে এখনও পর্যন্ত নতুন শিক্ষানীতি চালু করা হয়নি। কেন মানা হচ্ছে না কেন্দ্রের নির্দেশ এই অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এরপরেই শীর্ষ আদালত জানায়, জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করার জন্য কোনও রাজ্যকে বাধ্য করতে পারে না কেন্দ্র। তবে রাজ্যের পদক্ষেপ যদি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে সেক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে আদালত।
২০২০ সালে প্রথম নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি সামনে আনে কেন্দ্র। নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যেই প্রথম ভাষা হিসাবে স্কুলপড়ুয়াদের শিখতে হবে তাঁদের মাতৃভাষা। দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে থাকবে ইংরাজি বা হিন্দি। এ ছাড়া তৃতীয় ভাষা বেছে নিতে হবে কোনও প্রাচীন ভাষাকে। কিন্তু, নতুন এই শিক্ষানীতির বিষয়টিতেই প্রবল আপত্তি জানায় পশ্চিমবঙ্গ,তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্য।