বিজ্ঞপ্তিতে CBSE-র তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে মাতৃভাষায় পঠনপাঠনের উপর গুরুত্ব দেওয়া কথা বলা আছে। সেই ভাবেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) এবং উচ্চশিক্ষা দফতরগুলি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই সেই নীতিকে মাথায় রেখে বোর্ডের পক্ষ থেকে এই বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মাতৃভাষায় পঠনপাঠন করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: কম খরচে নেট বা সেটের প্রস্তুতি! সুযোগ দিচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, জানুন বিস্তারিত
কেন্দ্রীয় সরকারের আনা জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই CBSE-র আওতায় থাকা দেশের সমস্ত স্কুলেকে এই নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। CBSE-র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি একটি ট্যুইট করেন। সেই ট্যুইটে তিনি এই উদ্যোগের CBSE-কে ধন্যবাদ জানান। এই উদ্যোগ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আরও ভাল হবে, প্রতিটি শিশু নিজের ভাষা আরও ভাল করে শেখার সুযোগ পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিনমজুরের ঘর থেকে ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী! বাঙালি বিজ্ঞানীর জন্য গর্বে বুক ফুলবে
ট্যুইটে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, ‘ভারতীর শিক্ষা ব্যবস্থার নয়া নীতি অনুসারে মাতৃভাষায় শিশুশ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা যে ব্যবস্থা করেছে CBSE তার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। জাতীয় শিক্ষা নীতির লক্ষ্য অনুসারে, মাতৃভাষায় স্কুল পড়াশোনা করলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যে আরও ভাল ফল করবে তা বলাই বাহুল্য।”
ইংরেজির পাশাপাশি প্রাথমিক স্তর থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রদান করতে চায় CBSE। সে জন্য এই বোর্ডের আওতায় থাকা সব স্কুলকে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।