আরও পড়ুন: ৭ দিনে ‘স্লিম ও ট্রিম’! গলবে পেটের মেদ! রোজ টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান এই ৩ মশলা
হাবরা অশোকনগর এলাকার প্রায় কয়েক হাজার শিশু ছাত্র-ছাত্রী আজ তাই রীতিমতো অবাক করা এই দক্ষতার অধিকারী। কোনরকম ক্যালকুলেটর ব্যবহার নয়, মুহূর্তেই জটিল অংকের সমাধান করে দিচ্ছে তাঁরা। যার উত্তর দিতে অভিভাবকদেরও রীতিমতো কর গুনতে হচ্ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হাতের আঙ্গুলের ইশারাতেই কয়েক সেকেন্ডে জটিল অংকের সমাধান করে দিচ্ছে এই শিক্ষায় শিক্ষিত খুদে পড়ুয়ারা। যা দেখে অবাক হতে হয়।
advertisement
অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান যুগে শিশুদের মানসিক বিকাশ ও গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে আধুনিক এই শিক্ষা জনপ্রিয় পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য রয়েছে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা। সেখানেই যত্ন সহকারে ছোট ছোট শিশুদের খেলার ছলে অংকের প্রতি আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় কাঠ বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এক ধরনের রডে গাঁথা পুঁথি। অনেকেই আবার হাতের আঙ্গুলের ব্যবহারেও শেখেন এই জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের টেকনিক। শিশুদের এমন দক্ষতা দেখে এখন রীতিমত অভিভূত অভিভাবকরাও। জানালেন, আগে যারা যোগ-বিয়োগ করতে ভয় পেত, এখন তারাই সবার আগে উত্তর বলে ফেলছে।
বড়দের যে সমস্ত গাণিতিক উত্তর দিতে হাতের কর গুনতে বা ক্যালকুলেটর ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, মুহূর্তেই ছোট ছোট শিশুরা সেই উত্তর দিয়ে ফেলছে। এরফলে ওদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। যা আগামী দিনে প্রতিযোগিতার বাজারে শিক্ষা থেকে ভবিষ্যৎ গড়তেও বিশেষ সাহায্য করবে এই সব নতুন প্রজন্মকে। মনোবিজ্ঞানীরাও মনে করছেন, শিশুদের আধুনিক এই শিক্ষা শুধু গণনা শেখাই নয়, এটি শিশুদের মানসিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যা বর্তমান ডিজিটাল যুগেও প্রাসঙ্গিক। এর ফলে শিশুদের মস্তিষ্ক দ্রুত কোন কিছু রপ্তকরা ও গড়ে উঠতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আপনার সন্তানের বিকাশে এই আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির ক্লাস অবশ্যই সঙ্গে রাখা উচিত বলছেন শিক্ষিত সমাজের বিভিন্ন মহল।
Rudra Narayan Roy