যৎসামান্য জমিতে চাষ করে তিনি সংসার চালিয়েছেন। এমন পরিবারের মেজ ছেলে বিজয় চন্দ্রযান-২ প্রকল্পের সিনিয়র বিজ্ঞানী। স্বভাবতই ছেলের জন্য গর্বিত নারায়ণবাবু। গ্রামের ছেলে বিজয়কে নিয়ে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে পৌঁছেছে ইসরোর বিজ্ঞানী দল, দুপুরেই শুরু চন্দ্রযান-৩ এর কাউন্টডাউন
২০০০ সালে দক্ষিণগ্রাম হাইস্কুল থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করার পর তিনি স্কলারশিপ পেয়ে বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। পরে জয়েন্ট এন্টার্ন্স দিয়ে তিনি কল্যাণী গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি-টেক করেন। এরপর তিনি যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে এমটেক পড়ার জন্য ভর্তি হন। সেখানেই পড়াশোনা চলাকালীন অনলাইনে ISRO-র বিজ্ঞানী পদে আবেদন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: টমেটো হবে সস্তা! কেন্দ্রীয় সরকারের বিরাট পদক্ষেপ, দাম কমবে অনেকটা
লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর হায়দরাবাদে ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ইসরোর বিজ্ঞানী পদে তিনি যোগদান করেন। চাকরিরত অবস্থায় অধ্যাপকদের সাহায্যে তিনি ২০০৮ সালে এমটেক সম্পূর্ণ করেন।
এরপর থেকে ISRO-র অনেক অপারেশনের সঙ্গে তিনি জড়িত। প্রথমদিকে তিনি রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট মিশনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি মঙ্গলায়ন মিশন নিয়ে কাজ করছেন। সম্প্রতি ISRO থেকে আরএস-১২বি স্যাটেলাইট লঞ্চ করা হয়। তার অপারেশন ম্যানেজার ছিলেন তিনি।
এরপর চন্দ্রযান-২ অপারেশন টিমের সদস্য হন ও চান্দ্রযান-৩ টিমেও আছেন। ১৬ বছর ধরে তিনি ISRO-তে কর্মরত রয়েছেন। বাড়ির ছেলের এই সাফল্যে খুশি দাই পরিবার।