কমিশন সূত্রে খবর, জুন মাস পর্যন্ত কলেজগুলিতে যত সংখ্যক শূন্য পদ তৈরি হবে, তত সংখ্যক শূন্যপদ নিয়েই কলেজগুলিতে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ হবে। এর দরুণ কলেজগুলিতে শূন্য পদের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা। গত বছর থেকেই কলেজগুলিতে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন।
advertisement
কমিশন সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে কলেজগুলিতে শূন্য পদের সংখ্যা এসেছে প্রায় ১৫০০ টি। কিন্তু কমিশন চাইছে সেই শূন্য পদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। তার জেরেই জুন মাস পর্যন্ত কলেজগুলিতে তৈরি হওয়া শূন্য পদের সংখ্যা নিয়েই সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করবে কলেজ সার্ভিস কমিশন বলেই কমিশন সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, রাজ্যের একাধিক কলেজ রোস্টার তৈরি করতেও সমস্যার মুখে পড়ছে। বিশেষত ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ডিপার্টমেন্ট থেকে রোস্টার আসতে বেশ খানিকটা সময় লাগছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। তার জন্য কলেজগুলিকে বাড়তি কিছুটাও সময় দেওয়া হচ্ছে।
যাতে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ডিপার্টমেন্ট থেকে রোস্টার হয়ে শূন্য পদ গুলি কমিশনের কাছে আসে। কমিশন সূত্রে খবর মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া কার্য তো শেষ হয়ে যাবে বিভিন্ন বিষয়ের। তারপরেই চূড়ান্ত শূন্য পদের উপর বিষয় ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তবে জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়ায় কলেজগুলিতে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের শূন্য পদের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
সেক্ষেত্রে শূন্য পদের সংখ্যা ২০০০ এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলেও অনুমান করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত অধ্যাপকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ হওয়ায় কলেজগুলি থেকেও শূন্য পদের সংখ্যা খুব একটা পাওয়া যাচ্ছিল না। তার জেরে খানিকটা সমস্যার মুখেই পড়ছিল কমিশনের আধিকারিকরা। কিন্তু এবার সেই সমস্যার সমাধান অনেকটাই হবে বলে মনে করছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর একাধিক বিষয়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া কার্যত শেষের দিকে।
আরও পড়ুন, ভুল মেসেজ পাঠিয়ে আর নেই চিন্তা, চট করে বদলান লেখা! WhatsApp আনছে দুর্দান্ত ফিচার
আরও পড়ুন, বাইডেন, সুনাককে দশ গোল! মোদি ভেঙে দিলেন সব রেকর্ড, গ্লোবাল রেটিংয়ে ধামাকা
তবে বাংলা, ইতিহাস এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও খানিকটা সময় লাগবে বলেই মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে জুন মাসের আগে কলেজ গুলোতে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়