সামান্য এই উপার্জনে সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠত আলম পরিবারের। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসবেন বলে সকালে অর্থ উপার্জন শুরু করেন আরবাজ আলম। রাতে পড়াশোনা করতেন ধার করা বই নিয়ে। তাতেই এসেছিল সাফল্য। আইআইটি জেইই-তে উত্তীর্ণ হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে পেরেছেন আরবাজ।
প্রত্যয়ী আরবাজ আলমের ভিতরের স্ফুলিঙ্গ চিনতে ভুল হয়নি আনন্দ কুমারের। সেলেব্রিটি এই শিক্ষক পিছিয়ে পড়া পরিবারের পড়ুয়াদের জন্য ‘সুপার ৩০’ ক্লাস পরিচালনা করেন। নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচের জন্য তিনি বেছে নেন আরবাজকে। বিনা খরচে ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন শিক্ষা, খাবার, বই এবং থাকার জায়গার।
advertisement
আরও পড়ুন : তলপেটের মেদ কমাতে চান? আজই ময়দার বদলে খান এগুলি! উপকার পাবেনই
দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের প্রশিক্ষিত করে আইআইটি, জেইই মূল স্তরের পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ সাফল্য এনে দিতে বিখ্যাত আনন্দ কুমােরর সুপার ৩০। তাঁর উপর ভিত্তি করে তৈরি সিনেমা ‘সুপার ৩০’-এর মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন হৃতিক রোশন।
আনন্দ কুমারের ছক ভাঙা সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সুবাদেই আরবাজ আলমের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ২০১৭ সালে তিনি সফল হন জেইই মেইনস পরীক্ষায়। সর্বভারতীয় সেই পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে আরবাজ এখন সফল ইঞ্জিনিয়ার। হতদরিদ্র পরিবারের চালচিত্র পাল্টে গিয়েছে তাঁর সাফল্যের জাদু স্পর্শে।