অগাস্ট মাসেই এই প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগের কথা হাতে পেয়েছেন পূজা দে। তাঁর এই কাজে সহযোগী হিসাবে আছেন অধ্যাপক জে এন রায়। জানা গিয়েছে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের অধ্যাপিকা পূজা দে। বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলায়। ২০১৬ সালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সের অধ্যাপিকা হিসাবে যোগদান করেন। তখন থেকেই আসানসোলে থাকা।
২৫০ কোটির প্রাসাদ! গুঁড়িয়ে দিল বুলডোজার… ধংসস্তূপে মিলল ‘গভীর জলের মাছ’! কে জানেন?
advertisement
রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ২২ অগাস্ট থেকে চালু হচ্ছে নতুন লোকাল ট্রেন! কোন রুটে দেখে নিন
একই সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন ডক্টর জে এন রায়। তাঁরা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার পূর্বে অধ্যাপিকা পূজা দে কাজ করতেন স্পিনট্রেনিক্স এবং অধ্যাপক জে এন রায় অপ্টো ইলেকট্রনিক্স এর উপরে কাজ করতেন। দুইজনেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন যদি কাজটা একসঙ্গে করা যায়! দু’জনেই শুরু করলেন সেন্টার ফর অর্গানিক স্পিনট্রেনিক্স এবং অপ্টো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসেস। এটার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ফটো ডিটেক্টর এর কাজ শুরু করলেন। ২০২৩ সালে নতুন ধরনের কাজ শুরু করেন টপোলজিকাল ইনসুলেটর এর উপরে কাজ। গত ২০২৪ সালের টপোলজিকাল ইনসুলেটর বেসড ফটো ডিটেক্টর সংক্রান্ত কিছু প্রজেক্ট পাঠিয়ে ছিলেন আমেরিকার এয়ার ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই প্রজেক্ট দেখে কার্যত খুশি হয়েছিলেন সেখানকার আধিকারিকেরা। তার পরেই আসে এই প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ।
অধ্যাপিকা পূজা দে তৈরি করেছেন টপোলজিক্যাল ইনসুলেটর বেসড ইনফ্রারেড ফটো ডিটেক্টর, তাঁর সহযোগী আছেন অধ্যাপক জে এন রায়। এই সেন্সরের তথ্য যাচাই করে দেখা গিয়েছে এটি অনেক নিখুঁতভাবে বার্তা দিতে সক্ষম এবং অনেক বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পরিসর জুড়ে কাজ করতে পারে। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই ফটো ডিটেক্টর?
এই বিষয়ে অধ্যাপিকা পূজা দে বলেন, “সাধারণত যে ডিটেক্টর রয়েছে সেগুলি সীমাবদ্ধ এলাকা জুড়ে কাজ করে এর ফলে অনেকগুলো ডিটেক্টর এক সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। যেটা বানাতে চাইছি সেটা অনেকটা বড় জায়গা জুড়ে কাজ করবে এবং একটি ডিভাইসেই থাকবে তাতে খরচ কম হবে এবং অনেক বেশি নিখুঁত ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে। পাশাপাশি নয়েজ কম হবে, সেন্সিভিটি বেশি হবে এবং রুম টেম্পারেচারের জন্য কাজ করবে”।
তাঁদের এই কাজের জন্য বেছে নিয়েছে আমেরিকার ডিফেন্স সিস্টেম পেন্টাগন। দুই দফায় এক লাখ ডলার অনুমোদন পেয়েছেন। তাঁদের এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডঃ চন্দন কোনার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিকগণ। এছাড়াও তিনজন পিএইচডির পড়ুয়া তাঁরাও এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নীতিশ ঘোষ, মহম্মদ মিনহাজ আলীও শুভদীপ পাল।