গত শনিবার, এক মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে স্বর্ণাভর জীবনে নেমে আসে গভীর অন্ধকার। ব্রেন স্ট্রোকে আকস্মিকভাবে মৃত্যু হয় তার বাবা মলয় চ্যাটার্জীর।বাবাকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হলেও, বাবার কথা মনে করেই নিজেকে সামলে নেয় সে। ছোটবেলা থেকেই তার বাবা চেয়েছিলেন, স্বর্ণাভ যেন মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে, উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে ছেলে। বাবার সেই অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সংকল্প নিয়ে, সমস্ত শোক বেদনা ভুলে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও পরীক্ষার হলে বসার সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় সে।
advertisement
আরও পড়ুন-‘কন্ডোম’ ছাড়া একমুহূর্ত চলে না…! রণবীরের ‘বেডরুম সিক্রেট’ ফাঁস দীপিকার, রেগে আগুন ঋষি যা বললেন…
স্বর্ণাভ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, “বাবার মৃত্যু আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শোক, এক অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু তিনি সবসময় চাইতেন আমি পড়াশোনায় ভাল করি, নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি। তাই বাবার ইচ্ছার মর্যাদা দিতেই আমি আজ পরীক্ষায় বসেছি।” মন্তেশ্বর সাগর বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র স্বর্ণাভ এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী। তার পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল মালডাঙ্গা আর.এম. ইনস্টিটিউশনে।
আরও পড়ুন- বিয়ের মন্ডপেই শুরু! বরকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারল না কনে! প্রকাশ্যেই যা করল… লজ্জায় লাল হবু
বাবার মৃত্যুর পর শোকগ্রস্ত হলেও তার অদম্য মনোবল এবং সংকল্প দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন শিক্ষক, পরীক্ষক এবং সহপাঠীরা। সকলেই তার মানসিক দৃঢ়তার প্রশংসা করেন।স্বর্ণাভর এই লড়াই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত দুঃখ বা কঠিন সময়ের মোকাবিলা নয়, বরং এটি হাজারো পরীক্ষার্থীর জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। শোকের ভারে ভেঙে না পড়ে, তা শক্তিতে রূপান্তর করে এগিয়ে যাওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সে। বাবার আশীর্বাদকে সঙ্গী করে স্বর্ণাভ তার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে চলেছে, যা নিঃসন্দেহে সাহস, দৃঢ়তা ও অধ্যবসায়ের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী