কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন-এর তরফে মাদ্রাসা বোর্ডকে জানানো হয়েছে, ১৯৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, যাঁরা আগে মাদ্রাসা বোর্ডে কাজ করতেন, তাঁরা ফের সেই কাজে যোগ দিতে পারবেন। তবে প্রাথমিক ভাবে বোর্ড যে ২৬৪ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম পাঠিয়েছিল, তাতে গরমিল রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বোর্ডের তরফে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ৬৭ জন প্রার্থীর তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। তা ফের যাচাই করে দফতরের কাছে পাঠাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডকে। শুধু মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা নন, পার্শ্ব শিক্ষক হিসাবেও যাঁরা কাজ করতেন, তাঁরা যাতে পুরনো কাজে যোগ দিতে পারেন, সে জন্যও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন– সবাই ভেবেছিলেন ফ্লপ হবে, মুক্তির পরে পেল ৪৯টা পুরস্কার ! আমির খানের কোন ছবি বলতে পারবেন?
ইতিমধ্যে প্রায় ২০০০ চাকরিহারা শিক্ষককে প্রাথমিক শিক্ষকতার কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুধু প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা পদোন্নতি ও বাড়ির কাছে কর্মস্থল চেয়ে ২০১৬ সালের SSC পরীক্ষা দিয়েছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের সকলেরই চাকরি গিয়েছে। তার পরেই তাঁরা পুরনো পদে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ৫৫০ জনকে পুরনো কাজে যোদ দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন– এই ৭ কারণে ক্ষতি হয় কিডনির, অভ্যাসগুলোর একটাও আপনার নেই তো?
পুরনো চাকরিতে ফিরতে চেয়ে চার হাজারের বেশি ‘যোগ্য’ চাকরিহারা আবেদন করেছিলেন। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের সমস্ত নথি যাচাই করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষকতা ছাড়াও পুরনো চাকরিতে ফিরে গিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতর, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্মীরা। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বাকি যে আবেদনগুলি পড়ে আছে তা নিয়ে শীঘ্রই সম্মতি দেওয়া হবে। সেই কাজও দ্রুততার সঙ্গে করছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।