বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দিল্লির রোহিনীর ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আফতাবকে। ১০টা নাগাদ শুরু হয় নার্কো টেস্ট। চলে ২ ঘণ্টা। সূত্রের খবর, সেখানেই শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় আফতাব। এর আগে পলিগ্রাফ টেস্টেও সে একই কথা বলেছিল।
advertisement
তবে, নার্কো টেস্টের এই বয়ানের আইনি বৈধতা তেমন নেই বলেই মনে করছেন আইনি বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, এক্ষেত্রে যেহেতু শ্রদ্ধার সম্পূর্ণ দেহ উদ্ধার করা যায়নি, তাই তল্লাশিতে পাওয়া দেহাংশের টুকরোর DNA টেস্টেই মিলতে পারে খুনের ফিজিক্যাল এভিডেন্স। তবেই, তার সঙ্গে আফতাবের নার্কোটেস্টের স্বীকারোক্তির যোগ টানতে পারবে দিল্লি পুলিশ।
নিজের বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ৩৫ টুকরো করার অভিযোগ রয়েছে আফতাবের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, বান্ধবীর শরীরের সেইসব টুকরো রেফ্রিজেটরে রেখে প্রতিদিন রাতে একটা একটা করে মেহরৌলির জঙ্গলে গিয়ে ফেলে আসতেন আফতাব। শ্রদ্ধার দেহাংশ ফ্ল্যাটে থাকাকালীন এক বান্ধবীকেও সেই ফ্ল্যাটে এনেছিলেন, দিয়েছিলেন শ্রদ্ধারই আংটি।
আরও পড়ুন: বেসরকারি ল’কলেজ অনুমোদন, পার্থর কাছে মানিকের সুপারিশ বলছে ইডি
আদালতে আফতাবের আইনজীবী দাবি করেছেন, গত মার্চ মাসে বাড়ির খরচ নিয়ে ঝগড়া হয় আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্যে। তখনই রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করে বসেন আফতাব। আফতাবের এই দাবির সত্যাসত্য অনুসন্ধান করতে আদালতে তাঁর নার্কোটেস্টের অনুমতি চায় দিল্লি পুলিশ। ১ ডিসেম্বর ছিল সেই নার্কোটেস্টের দিন।