নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে কলকাতার তিলজলা এলাকায়৷ ওই শিশুটির গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্তি অলোক কুমার নাম ৩২ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ যদিও কেন ওই বালিকাকে অলোক খুন করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দা এবং এলাকার মানুষ তিলজলা থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখায়৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই হাসপাতাল থেকে উধাও শিশু, খোঁজ মিলল সুদূর বোকারোতে! চাঞ্চল্যকর ঘটনা
পুলিশ জানিয়েছে, তিলজলার শ্রীধর রায় রোডের একটি আবাসনে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত বছর সাতেকের ওই বালিকা৷ এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে তিলজলা থানায় এসে অভিযোগ জানায় বালিকার বাবা-মা৷ এর পরেই শিশুটির খোঁজ শুরু করে পুলিশ৷ ওই আবাসনে মোট ৩২টি ছোট ছোট ফ্ল্যাট রয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, আশেপাশের এলাকায় খোঁজ করার পাশাপাশি ওই আবাসনের অন্যান্য ফ্ল্যাটগুলিতে ঢুকে শুরু হয় তল্লাশি৷
আরও পড়ুন: ছিঃ! দুই নাবালিকাকে শারীরিক নির্যাতনে অভিযুক্ত দাদু! লজ্জায় মাথা হেঁট
তল্লাশি চলাকালীনই আবাসনের তিন তলার বাসিন্দা অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ৷ ফ্ল্যাটের ভিতরে একটি বস্তা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশকর্মীদের৷ সেই বস্তা খুলতেই ভিতর থেকে বালিকার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়৷
বালিকার দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়৷ আদতে বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সি অলোক কুমার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ কেন সে ওই বালিকাকে খুন করল, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্যও পুলিশ অপেক্ষা করছে৷ নিছক কোনও প্রতিহিংসা, নাকি শিশুটির উপরে যৌন নির্যাতন করে তাকে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷