আর এই কাজটা করার জন্য এখন গুগলের সাহায্য নিচ্ছে প্রতারকরা৷ গুগলে অনেকেই ব্যাঙ্ক সহ নানা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর খোঁজেন৷ আর তা করতে গিয়েই প্রতারকদের পাল্লায় পড়ছেন তাঁরা৷ এমন বেশ কয়েকটি প্রতারণার ঘটনা সাম্প্রতিককালে সামনে এসেছে৷ তাই অনলাইনে কাস্টমার কেয়ার নম্বর খোঁজার আগে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন৷
আরও পড়ুন: এত বুদ্ধি! ঝাড়গ্রামের যুবক যেভাবে বিপুল টাকা হাতিয়েছেন, শুনলে ভিড়মি খাবেন নিশ্চিত
advertisement
সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন নামী সংস্থার ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখছে৷ স্বভাবতই সেখানে দেওয়া নম্বরও ভুয়ো৷ মানুষ ওই সমস্ত সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর খঁজতে গিয়ে এই নম্বরগুলি পেয়ে ফোন করলেই প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা৷ প্রতারকরা এমন কারসাজি করে রাখছে যে কেউ কোনও সংস্থার কাস্টমার কেয়ার বা হেল্পলাইন নম্বর খুঁজলে প্রথমে এই ভুয়ো ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরই প্রথমে দেখাবে গুগল৷
এই সমস্ত ভুয়ো নম্বরে ফোন করলে প্রতারকরা এমন ভাবে কথা বলবে যে মনে হবে আসলে নামী কোনও সংস্থার এজেন্টরাই কথা বলছে৷ ফলে সহজেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে নেয়৷ অনেকেই ভরসা করে এই প্রতারকদের নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ওটিপি এবং কেওয়াইসি-র মতো ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেয়৷ আর তার পরেই হয় সর্বনাশ৷
এক নজরে দেখে নিন অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়-
১. অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হোন৷ কোনও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করার আগে সতর্ক হোন৷
২. গুগলে কাস্টমার কেয়ার নম্বর খোঁজার বদলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কোনও বুকলেট, লিফলেট অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বর খোঁজার চেষ্টা করুন৷
৩. ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে পাস বই, চেক বই অথবা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের পিছনে লেখা হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহার করুন৷
আরও পড়ুন: ট্রেনের মধ্যেই পর পর গুলির শব্দ, আঁতকে উঠলেন যাত্রীরা! এনজেপি স্টেশনে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
৪. খেয়াল রাখুন, কোনও ওয়েবসাইটের লিঙ্ক বা ইউআরএল-এর আগে ইংরেজিতে https লেখা আছে কি না৷ সেক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইটগুিল তুলনামূলক নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া যায়৷
৫. ক্যাশ ব্যাক, ইন্টারেস্ট অথবা ডিসকাউন্টের টোপ দিয়ে ফোন নম্বর, অ্যাকাউন্ট নম্বর বা আধার নম্বর চায়, এমন কোনও পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপগুলিকে এড়িয়ে চলুন৷
৬. যদি আপনার মনে হয় কোনও ট্র্যানজ্যাকশন আপনি করেননি, তাহলে অবিলম্বে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম হেলপলাইন নম্বর ১৯৩০-তে যোগাযোগ করুন৷ অথবা cybercrime.gov.in -এ অভিযোগ জানাতে পারেন৷