এমনকী অন্য অফিসারের সঙ্গে জড়িয়েছেন সম্পর্কে। এবার জ্যোতির সেই ‘প্রেমিক’ তথা ওই অফিসারের বিয়ের ছবি এবং সার্টিফিকেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানি বউদিকে দেখতে ভিড় বাড়ছে কেবলই, গ্রামবাসীরা বলছেন কোনও অসুবিধা হতে দেবেন না!
অলোক মৌর্যের অভিযোগ, জ্যোতির সঙ্গে যে অফিসারের ঘনিষ্ঠতা বেড়ছে, তাঁর নাম মনীশ দুবে। তিনি হোমগার্ড কম্যান্ড্যান্ট পদে কর্মরত। বিয়ের শংসাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট আলিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা তনু পরাশরকে বিয়ে করেছিলেন মনীশ। লখনউয়ের আলিগঞ্জের আর্য সমাজ মন্দিরে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, তনুর সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছেন মনীশ। এমনকী তাঁদের বিয়ের আসরে অনেক অতিথিই উপস্থিত হয়েছিলেন, এমনটাও দেখা গিয়েছে।
advertisement
ফলে বর্তমানে মনীশ দুবেও জ্যোতির মতোই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাঁকে নিয়ে সরব নেটিজেনরা। এমনকী এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন লোকসঙ্গীত শিল্পী নেহা সিং রাঠোর। ‘ইউপি মে কা বা’ গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। নেহা বলেন যে, “সব সময় মেয়েরাই কেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন? তাই জ্যোতি মৌর্যকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে মনীশ দুবেকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা উচিত! দোষী জ্যোতি হোন কিংবা অলোক মৌর্যই হোন, মিথ্যা দিয়ে শুরু হওয়া সম্পর্ক বেশিদিন টিকতে পারে না!”
একই কথা বলেছিলেন জ্যোতির বাবাও। আসলে অলোকের অভিযোগের পাল্টা দিয়েছিলেন জ্যোতি। তাঁর দাবি, নিজের পেশার প্রসঙ্গে মিথ্যা বলেছিলেন অলোক। নিজেকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসার বলে দাবি করলেও পরে জানা যায় যে, তিনি এক জন চতুর্থ শ্রেণীর সাফাইকর্মী।
মেয়ের এই অভিযোগকে সমর্থন করে একই সুরে কথা বলেছিলেন জ্যোতির বাবা পরশনাথও। তিনিও জানান যে, অলোক কোন পদে চাকরি করেন, সেটা বিয়ের কার্ডেও ছাপানো হয়েছিল। সেই বিয়ের কার্ডই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
