জানা গিয়েছে, লোন পেতে গেলে অ্যাপটি ফোনে ইন্সটল করতে হত। এরপরেই ফোনের গ্যালারি, কন্টাক্টস, ক্যামেরার অ্যাকসেস নিয়ে সেই ব্যক্তির সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তি । অভিযুক্তকে রানাঘাট মহাকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় বৃষ্টি শুরু, কিছুক্ষণেই আরও ৪ জেলায় প্রবল বৃষ্টি, বইবে ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া
উল্লেখ্য, অনলাইন প্রতারণার শিকার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন জেলার সাইবার সেলে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এক নতুন প্রতারণার ছক। সূত্রের খবর, বেশ কিছু লোন প্রদানকারী ও সংস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে লোন দেওয়ার জন্য প্রলোভন দেখানো হত। এরপর সাধারণ মানুষ ওই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা লোন নিত ইন্টারনেটের মাধ্যমে। লোন নেওয়ার সময় বেশ কিছু যাবতীয় তথ্য ওই ইন্টারনেটে তাদের অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে কাছে দিতে হত সেই ব্যক্তিকে।
আরও পড়ুনঃ সন্ধ্যায় চলত মদ-নাচের মোচ্ছব! এগরার বাজি কারখানায় আসত কারা? আড়ালে আর কী চলত? লজ্জা…!
এরপরই শুরু হয় আসল ঘটনা। যাবতীয় তথ্য শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই লোন প্রদানকারী ওই ভুয়ো সংস্থা ওই ব্যক্তির যাবতীয় ছবি ভিডিও ফোন নম্বর সমস্ত কিছুর অ্যাকসেস পেয়ে যেত এবং তারপরেই শুরু হতো ব্ল্যাকমেল। ওই লোনের টাকার বিনিময়ে চাওয়া হতো চড়া সুদ এবং সুদ সমেত সেই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করা হলেই যাবতীয় পার্সোনাল ছবি ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত লোন প্রদানকারী ওই প্রতারকদের তরফ থেকে।
Mainak Debnath