উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল সাঁকরাইল থানার লাউদহ গ্রামের মঙ্গলবাঁধ খাালের পাশ থেকে পূর্ণিমা মান্ডির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন জঙ্গলে, তারপর সকাল আট'টা নাগাদ তাঁকে গাছের তলায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকায়। মানুষ পূর্ণিমা মান্ডির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে দেখে খবর দেয় পরিবারকে। এরপর তার পরিবারের লোকজন গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চলন্ত ব্রেক ডান্স দোলনা থেকে ছিটকে পড়লেন যুবতী! তারপর যা ঘটল...! অবিশ্বাস্য
এই ঘটনার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে সাঁকরাইল থানার পুলিশ প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেন। পরে ২১ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার মৃতার স্বামী রঞ্জিত মান্ডির নামে সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এই অভিযোগ পাওয়ার পর এই তদন্ত শুরু করেন। পরের দিনই রাতেই অভিযুক্ত রঞ্জিত মান্ডিকে গ্রেফতার থানায় নিয়ে আসেন। ধৃত রঞ্জিত মান্ডি পুলিশের কাছে শিকার উক্তি দেয়, সে খুন করেছেন। এ দিন ধৃত যুবককে ঝাড়্গ্রাম আদালতে তোলেন পুলিশ তাকে আদালত চারদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অপরদিকে, তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার পরেই সে খুন করার জন্য যে অস্ত্রের ব্যবহার করে ছিল, তা উদ্ধার হয়। এই বিষয় গোপীবল্লবপুরের ডিএসপি সব্যসাচী ঘোষ বলেন, তাদের দু'জনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক থেকে মহিলা পূর্ণিমা মান্ডি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন তাই তাকে খুন করে রঞ্জিত। সেই ঘটনার তদন্ত করছিল পুলিশ গত ২১ তারিখ মৃতের স্বামী লিখিত অভিযোগ করার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাকে আদালতে পেশ করলে চারদিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন আদালত আমাদের কিছু তদন্ত ছিল তাই তাকে নিজেদের হেপাজতের আবেদন করা হয়েছিল।
রাজু সিং