গাড়ি থেকে ফেলার পরিকল্পনা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত সাহিল তা করে উঠতে পারেনি। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে। রাজধানীর নজফগড়ের হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে নয়া মোড়ে হতবাক তদন্তকারীরাও। ইতিমধ্যেই শনিবার আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সাহিলের বাবা ও পরিবারের আরও কয়েকজন মিলে ষড়যন্ত্র করে নিকিকে খুন করায়। সাহিলকে সাহায্য করেছিল তারা প্রত্যেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিকি হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, সাহিলের বাবা সামিল ষড়যন্ত্রে! এক পুলিশ দেহ ফ্রিজে রাখতে বলে
এমনকী এক পুলিশেরও সহযোগিতা পেয়েছিল সাহিল। খুন করার পর নিকির দেহ ধাবার ফ্রিজে রাখার বুদ্ধি দিয়েছিল সে। সেই পুলিশকেও জেরা করছেন তদন্তকারীরা। নিকিকে খুন করে দেহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে সেদিনই অপর এক যুবতীকে বিয়ে করেছিল সাহিল। নিকি হত্যাকাণ্ডে নেমে তদন্তকারী অফিসারদের তরফে আরও দাবি, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নয়ডার আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন নিকি যাদব এবং সাহিল গেহলোট।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের গাড়িতে নিকির মৃতদেহ পাশে বসিয়ে ৪০ কিমি চালায় সাহিল, জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিশের দাবি, নিকির মৃতদেহ পাশে বসিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গাড়ি চালায় সাহিল। পরে ধাবার ফ্রিজে প্রেমিকার দেহ রেখে দিয়ে আসে সাহিল। প্রেমিকাকে খুন করার কয়েক ঘণ্টা পরই হাসি মুখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে সাহিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি, যেদিন নিকিকে খুন করে সাহিল, সেই দিনই তাঁর অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদান হয়। বিয়ে করা নিয়েই নিকি ও সাহিলের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়েছিল।