স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাসুদেব বিশ্বাসকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মা মিনতি বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বাথরুমে বসে শ্রদ্ধাকে টুকরো করার ফাঁকে বিয়ার-সিগারেট খায় আফতাব, অর্ডার দেয় মুখরোচক খাবার!
advertisement
অভিযোগ, অরবিন্দের প্রথম পক্ষের স্ত্রী তারই মেজো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে গিয়ে আলাদা জায়গায় সংসার পাতেন। এরপর থেকে মেজো ভাইয়ের সাথে সব রকম সম্পর্ক ত্যাগ করতে বাবা-মায়ের কাছে দাবি করেন অভিযুক্ত অরবিন্দ বিশ্বাস। কিছুদিন মেজো ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও ইদানিংকালে ফের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিশ্বাস দম্পতি। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইদানিংকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে বিবাদের সৃষ্টি হয় ছেলে অরবিন্দের। ইতিমধ্যেই সে দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন, এবং ছোট একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে অরবিন্দ বিশ্বাসের বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী যোজনায় রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দ! শর্ত না মানলে ফের বড় ব্যবস্থা নেবে বিজেপি
মূলত এই বিবাদের জেরেই এই দিন বাবা মায়ের সঙ্গেফের বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অরবিন্দ। সেই সময় ধারালো একটি কুড়োল নিয়ে চড়াও হয় বাবা-মার উপর। এবং ছেলের কুড়োলের আঘাতে গুরুতর আহত হন সস্ত্রীক বাসুদেব বিশ্বাস। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।এই ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত অরবিন্দ বিশ্বাস। অভিযোগ পেয়ে সম্পূর্ণ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
মৈনাক দেবনাথ