একজনের সুপারিশপত্র ও আর একজনের নিয়োগপত্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর চুরি করে কী ভাবে বছর তিনেক ধরে শিক্ষকতা করলেন অনিমেষ তেওয়ারি, তা তদন্ত করতে গিয়ে অবাক হয়ে যাচ্ছেন সিআইডি কর্তারা। ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদের শিক্ষা ভবনের স্কুল পরিদর্শক ছিলেন পূরবী বিশ্বাস। করোনাকালে ই-মেলের মাধ্যমে বিকাশ ভবনের সঙ্গে চিঠিপত্র লেনদেন হত। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিলেন অনিমেষ তেওয়ারির বাবা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তেওয়ারি।
advertisement
আরও পড়ুন: দৌড়ে এসে ট্রেনে উঠতে গিয়ে ছিটকে গেলেন যাত্রী, মাঝ রাস্তায় থামল বন্দে ভারত! মালদহে চাঞ্চল্য
সিআইডি-র আধিকারিক অনিস সরকারের নেতৃত্বে চার সদস্যের দল এদিন জেলার প্রাক্তন ও বর্তমান স্কুল পরিদর্শকদের ডেকে লাগাতর জেরা করেন। ডাকা হয় গোঠা হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির বর্তমান সভাপতি সানোয়ার হোসেনকেও। তবে প্রধান শিক্ষক আশিস তেওয়ারি ও তাঁর ছেলে অনিমেষ তেওয়ারিকে ডাকা হলেও তাঁরা এদিন অনুপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ভবনে। অভিযোগ, আশিস তেওয়ারি তাঁর ছেলে অনিমেষ তেওয়ারিকে স্কুলের ভূগোল বিষয়ে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন। ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়েই তিনি চাকরি করছিলেন।
আরও পড়ুন: ঠোঁট অতিরিক্ত শুকিয়ে যাচ্ছে? শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারণরোগটি! জানুন
অভিযোগ, অন্য একজনের সুপারিশপত্রের মেমো নম্বর এক রেখে সেই সুপারিশপত্র অনিমেষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সমস্ত সুপারিশপত্রের কাগজ নিয়ে প্রায় ঘন্টা চারেক ধরে বর্তমান স্কুল পরিদর্শক ও প্রাক্তন স্কুল পরিদর্শককে জেরা করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, আশিস তেওয়ারি কংগ্রেসের তিন বারের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য। তাঁর মধ্যে একবার তিনি শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। যদিও তাঁকে বারে বারে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, 'সিআইডি আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। যে সময় শিক্ষক নিয়োগ হয় আমি সভাপতি ছিলাম না। আমি এই ব্যাপারে জানতাম না। আমরাও চাই আসল তথ্য উঠে আসুক।'