বুধবার সকালে ওই পুকুরে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ভরতপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে টিনাকে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে অভিযুক্তরা শীঘ্রই গ্রেফতার হবে।
আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রিতে কে গুরু, কে শিষ্য? জীবন কৃষ্ণ ও কৌশিকের কাণ্ড শুনে চোখ কপালে দুঁদে গোয়েন্দাদেরও!
advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইদের নতুন জামা কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় টিনা খাতুন। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন মোবাইলে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। বার বার রিং হয়ে ফোন কেটে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে খোঁজ না পাওয়ায় ভরতপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করে পরিবারের লোকেরা। বুধবার সকালে ভরতপুর থানার তালাপুকুর এলাকায় পুকুরে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ভরতপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ভারতপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপপ্রবাহের জ্বলুনি থেকে রেহাই কবে? আবহাওয়ার বড় খবর!
পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খবর পেয়ে টিনা খাতুনের পরিবারের লোকেরা এসে দেহ সনাক্ত করে। পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে টিনাকে। অভিযোগ এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল টিনার। কিন্তু পরে বিয়ে ভেঙে যায়। ওই যুবক টিনাকে বিয়ে করতে চাইলেও যুবকের পরিবারের লোকেরা আপত্তি জানায় এবং টিনাকে খুনের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। টিনার মামা আকতার হোসেন বলেন, 'আমার ভাগ্নি নতুন জামা কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনও খোঁজ পাইনি। তবে এই ভাবে আমার ভাগ্নিকে দেখব কল্পনাও করিনি। ওকে খুন করা হয়েছে।'
প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়