গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাথাভাঙার বেসরকারি একটি হোটেল থেকে জহুরুলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার পেছনে কোনও ত্রিকোণ প্রেমের গল্প রয়েছে। তদন্তে নেমে কোচবিহার কোতোয়ালি থেকে উদ্ধার হয়েছে মনসুরের বাইক ও মোবাইল ফোন। উল্লেখ্য, বুধবার সকালে মাথাভাঙ্গা বেলতলা এলাকার ১৬ নম্বর রাজ্য সড়কের পাশ থেকে এক যুবকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোয় শাড়ি পরলে গয়না চাই, আপনি কিনেছেন তো! দাম শুরু স্রেফ ৩০০ টাকা থেকে
স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মনসুর আলি এবং তাঁর বাড়ি শীতলকুচি থানার অন্তর্গত নলগ্রাম এলাকায়। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আট'টা নাগাদ গোসাইয়ের হাটে থাকা তার দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মনসুর। কিন্তু, তার আর বাড়িতে পৌঁছনো হয়নি। বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই এই রহস্যজনক মৃত্যু হয় তার।'
প্রসঙ্গত, এলাকাবাসী ঘটনাটিকে চক্রান্ত করে খুন বলে অনুমান করেছিলেন। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছিল, 'মৃত যুবকের ফোন থেকে তার বাড়ির লোকের কাছে মোট ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে মেসেজ করা হয়েছিল। তবে তার পরেই পরদিন সকালে মনসুরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে।' এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, "মৃত ব্যক্তির গলায় মোবাইলের চার্জার দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। সঙ্গে একটি ব্যাগ বেশ কিছু মোবাইলের সিম কার্ডের প্যাকেট পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে নলগ্রাম এলাকার রক্তিম সংঘের দিবারাত্র নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের লাকি ড্র খেলার একটি রশিদ বইও পাওয়া গিয়েছে। বুধবার এই খেলাটি হওয়ার কথা ছিল। তবে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। মূলত ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের জেরে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এই খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে জানান ধৃত।"
Sarthak Pandit