এককথায় দুষ্টুমি করলে তাকে এভাবেই শূন্যে ঝুলিয়ে রেখে ফেলে দেওয়া হবে, অর্থাৎ মৃত্যুভয় দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষক মনোজ বিশ্বকর্মাকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের খাওয়ারের ব্রেকের সময় খেলতে গিয়ে অন্য এক পড়ুয়াকে কামড়ে দিয়েছিল সোনু যাদব নামে ওই পড়ুয়া। তাকে শিক্ষা দিতেই এক পা ধরে শূন্যে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন প্রধান শিক্ষক। বলছিলেন, 'ক্ষমা না চাইলে নীচে ফেলে দেব'।
advertisement
আরও পড়ুন: হোমওয়ার্ক না করায় ক্লাস সেভেনের পড়ুয়াকে মারতে মারতে মেরেই ফেললেন শিক্ষক!
সোনুকে ওই ভাবে ঝুলিয়ে রাখতে দেখে স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে ভিড় করে অন্য ছাত্রছাত্রীরা। তারাও ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। সোনুও চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। সেই সময় একপ্রকার বাধ্য হয়েই সোনুকে ছেড়ে দেন মনোজ বিশ্বকর্মা। নাহলে কী করতেন তিনি, তা অবশ্য জানা যায়নি। যদিও সোনুর বাবা মায়ের এই শাস্তি নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। তাঁদের দাবি, 'শিক্ষক যা করেছেন তা ভুল, কিন্তু গুরুজি ভালোবেসেই যা করার করেছেন। তাই আমাদের কোনও সমস্যা নেই'। দাবি বাবা রঞ্জিত যাদবের।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের কন্যাসন্তানকে গলা টিপে নৃশংস খুন মায়ের, দেহ লোপাটে সঙ্গ দিল ১৩ বছরের ছেলে!
জুভেনাইল আইনে মনোজ বিশ্বকর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর পুলিশের সামনে দাবি, 'সোনু খুবই দুষ্টু ছেলে... ও ছাত্রছাত্রীদের কামড়ায়, শিক্ষকদের কামড়ায়। ওর বাবাই বলেছিল শিক্ষা দিতে। তাই আমরা ওকে ভয় দেখিয়েছি। ওকে উপর থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল শুধু ভয় দেখাতে।' প্রশ্ন উঠছে, যদি হাত ফসকে সোনু পড়ে যেত নীচে, যদি কোনও অঘটন ঘটত, তাহলে দায় কার হত?