মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী ব্লকের অন্তর্গত গোকুলতলা এলাকার বাসিন্দা গোলাম আম্বিয়া। বর্তমানে এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে কলকাতায় কর্মরত। বাবা বদরুজাম্মান ও দাদা মেহেদি হাসান। তবে গ্রেফতার হতেই হতবাক পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ হিমোগ্লোবিন বাড়ে হুড়মুড়িয়ে, হার্ট ভাল রাখে, ইলিশের ডিমের উপকারিতা জানলে চমকে উঠবেন
পরিবারের সদস্য মেহেদি হাসান জানান, গোলাম আম্বিয়াকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে, আমরা সিভিক ভলেন্টিয়ারের মুখ থেকে শুনেছি। শেষবার কুরবানির সময়ে এসেছিল বাড়িতে, দু’দিন ছিল। আমার পরিবারের কাকা বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে থাকতেন সেই সূত্রে কলকাতায় চলে যায় এবং সেখানেই কাজ করত। তবে কী ভাবে অসাধু চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
গোলাম আম্বিয়ার আত্মীয় সুপিয়া বিবি জানান, কলকাতায় হাতিয়ারা এলাকায় ছিল গোলাম। দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতায় আইভিএফ সেন্টারে কাজ করত। আমরা শুনেছি গ্রেফতার হয়েছে। কি কারণে গ্রেফতার তা জানি না।
আরও পড়ুনঃ শাহরুখের প্রাণ! ‘কাল হো না হো’র ছোট্ট মেয়েটার এ কী অবস্থা? অভিনয় ছেড়ে কোথায় হারিয়ে গেলেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতায় IVF সেন্টারের আড়ালে শিশু বিক্রি চক্রের ঘটনায় ধৃত ২ জন। সংশ্লিষ্ট আইভিএফ সেন্টারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই আইভিএফ সেন্টারেই শিশু বিক্রির কারবার চলত বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। তদন্তকারীরা বলছেন, আইভিএফ সেন্টারের আড়ালে শিশু পাচার চলছিল। দালাল মারফৎ শিশু বিক্রি হয়ে বহু হাতবদল হয়ে পৌঁছচ্ছিল ক্রেতাদের কাছে। মোটা দামে শিশু কিনছিলেন নিঃসন্তান দম্পতি। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যেই অন্যতম মূল পান্ডা গোলাম আম্বিয়া ।
কৌশিক অধিকারী