অবশেষে পুলিশের জালে মুম্বই ক্রুজ মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভি ৷ আরিয়ান খান-সহ 8 জনের গ্রেফতারিতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) সাক্ষী হয়েছিলেন কিরণ গোসাভি ৷ তাঁকে আটক করার বিষয়টি জানান পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্তা ৷
২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলায় কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে পুণে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে ‘নিখোঁজ’ গোসাভি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে তিনি নাকি অনেক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে আত্মসমর্পণের কথাও বলেছিলেন তিনি। যদিও পরে গোসাভির সেই দাবি উড়িয়ে দেয় লখনউ পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন- টিভি চ্যানেলের শো চলাকালীন হঠাৎই বেরিয়ে গেলেন শোয়েব, দিলেন ইস্তফাও ! দেখুন ভাইরাল ভিডিও
মুম্বইয়ের নিম্ন আদালতে একাধিকবার আরিয়ানের (Aryan Khan) জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তার পরে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরিয়ান। আরিয়ানের পাশাপাশি এই মামলায় অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার শুনানিও স্থগিত রয়েছে।
আরবাজের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করছেন সিনিয়র কাউন্সিল অমিত দেসাই। তিনি দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের এমন একটা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে যা কোনওদিন ঘটেনি পর্যন্ত। প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার হওয়া আরও ২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে কেন আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অমিত দেসাই।
মঙ্গলবার আদালতে আরিয়ানের (Aryan Khan) হয়ে সওয়াল জবাব করেছেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি। আরিয়ানের হয়ে তিনি বলেন, 'আরিয়ান মাদকের ক্রেতা নন। সেই ক্রুজে তাঁকে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। পার্টি শুরু হওয়ার আগেই তাঁদের আটক করা হয়। আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও ড্রাগ পাওয়া যায়নি। তার পরেও আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয় এবং বয়ান নেওয়া হয়। আরবাজের জুতো থেকে ৬ গ্রাম মাদক পাওয়া গিয়েছে তার জন্য আরিয়ানকে দায়ী করা সঠিক নয়। পাশাপাশি এফআইআর শিটে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কোনও উল্লেখই নেই অথচ আটক করার পরই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আরিয়ানের। এখনও পর্যন্ত আরিয়ানের কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়নি যেখানে প্রমাণ হয় আরিয়ান ড্রাগ নেন।'
আরও পড়ুন- সিঁড়িতে রহস্যময় টিফিন বক্স, ২৫ লাখ না পেলেই বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালিয়ে আরিয়ান খান ও আরও কয়েকজনকে আটক করে এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো)। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। গত ৮ অক্টোবর থেকে তিনি রয়েছেন মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে।