আতঙ্কিত পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই নম্বর থেকে পৃথক পৃথক জায়গায় ফোন করে মা-বাবাকে বলা হচ্ছে নির্দিষ্ট টাকা না দিলে তাঁদের সন্তানদের অপহরণ করে মেরে ফেলা হবে। ওই পরিবার গুলির খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্যই মজুত রয়েছে, হুমকি দিয়ে ফোন করা ওই ব্যক্তির কাছে বলেই জানা যাচ্ছে। কোন স্কুলে পড়ে তাদের সন্তান, কার কী নাম, কত বয়স, কোথায় থাকে, কোথা দিয়ে যাতায়াত করে সবই নিমেষে ফোনে বলে দিচ্ছেন অপহরণকারী। এরপরই, গোটা এলাকায় তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ। তড়িঘড়ি হুমকির ফোন পাওয়া অভিভাবকরা ছুটে যান দত্তপুকুর থানায়।
advertisement
আরও পড়ুন: নেই বালিশ, চাদর! পাশের সেলে কুখ্যাত জঙ্গি, 'পয়লা বাইশ' সেলে প্রথম রাত পার্থর
আতঙ্কিত অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠানো রীতিমতো বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকায় তৈরি হয়েছে ভয়ের পরিবেশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদেরকে ফোন করা হয়েছে সেই অভিভাবকদের ছেলেমেয়েরা বারাসাতের জগন্নাথপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র। অপর পরিবারের ছেলেমেয়েরা দত্তপুকুরের কাশেমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। পুলিশ অভিযোগ পাওয়া মাত্রই, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। হুমকির ফোন আসা ওই ভুতুড়ে নম্বরটি শনাক্ত করে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ, সিবিআইয়ের হাতে আটক চিটফান্ড কর্মকর্তা
তবে, কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা এখনো পরিষ্কার নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। যে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকে হুমকি দেওয়া হয়েছে অপহরণের, তাদের প্রত্যেকের সন্তানদের এদিন স্কুল থেকে পুলিশি প্রহরায় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। অপহরণের হুমকি দেওয়া অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে কতক্ষণে ধরতে পারে পুলিশ এখন সে দিকেই তাকিয়ে দত্তপুকুরের মানুষ। অভিযুক্ত ধরা পড়লেই আতঙ্ক থেকে মিলবে মুক্তি, ছন্দে ফিরবে গোটা দত্তপুকুর এলাকা।
রুদ্র নারায়ণ রায়