জানা গিয়েছে যে গুজরাতের সুরাতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। স্ত্রী যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে শারীরিক মিলনে বাধ্য করেছিলেন, ঘটনা তেমনটাও নয়। মূলত এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিশ্বাসহীনতা এবং সম্পর্কের ভাঙন।
বিয়ের ১০ বছর পরে স্ত্রীকে সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তি স্ত্রীর মোবাইল ঘাঁটলে সেখানে অপরিচিত এক পুরুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতার প্রমাণ পান। এর পরে তিনি তাঁর দুই সন্তানের ডিএনএ টেস্টিং করান। রিপোর্ট যা আসে, তাতে হতভম্ব হয়ে যান ওই ব্যক্তি। দেখা যায় দুই সন্তানের মধ্যে একজন তাঁর নিজের নয়।
advertisement
আরও পড়ুন- কোন কোন সরকারি স্কিমের টাকা পাচ্ছেন আপনারা? জানাতে এবার নয়া পদক্ষেপ নবান্নের
এই জায়গা থেকে আরও ভাল ভাবে স্ত্রীকে নিয়ে খোঁজখবর নিতে থাকেন ওই ব্যক্তি। জানা যায় যে তাঁদের বিয়ের সময়ে ওই মহিলা বিবাহিতাই ছিলেন, এটি তাঁর দ্বিতীয় বিবাহ। তবে সন্তান তাঁর প্রথমপক্ষের স্বামীরও নয়, অন্য কোনও ব্যক্তির।
এর পর পারিবারিক বিবাদ চরমে ওঠে এবং ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে গিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে ফিরিয়ে দেয়, এই অভিযোগ তারা নেয়নি।
শেষ পর্যন্ত আইনজীবীর সাহায্যে ওই ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ওই ব্যক্তি সিআরপিসি-র ১৫৬ নম্বর ধারা অনুসারে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিলেন।
Reporter- Kirtesh Patel