আরও পড়ুন Record number of Hilsa: বড়ই সুখবর! এক সপ্তাহে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ দিঘায়
সম্প্রতি বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বংশী চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা রাহুল বটব্যাল জয়পুর থানায় হাজির হয়ে তাঁর প্রতারনার অভিযোগ জানান। তিনি জানান টেলিফোনে প্রতারকরা তাঁকে মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হলে ধীরে ধীরে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে গত ১৯ জুলাই রজত অধিকারী, রাজীব মজুমদার ও অনুপম মন্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতার এয়ারপোর্ট থানার মহাজাতিনগর এলাকার একটি কল সেন্টারের সন্ধান পায় তদন্তকারীরা। এরপর গতকাল, বুধবার, ওই কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এই চক্রে যুক্ত শির্ষেন্দু দে,বিবেকানন্দ মন্ডল ও অভিজিৎ সরকার নামের আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনEast Bardhaman News: সাপের পর এবার টিকটিকি মিলল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে!
কল সেন্টারে কর্মরত আরও ১২ জন কর্মীকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধরলেও প্রতারণার ঘটনায় তাদের সেভাবে যোগ না থাকায় পুলিশ পরে তাদের ছেড়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে গোটা চক্রের মাস্টার মাইন্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শির্ষেন্দু দে ও রজত অধিকারী। তদন্তকারীদের ধারণা এই প্রতারক দলটি অন্য কোনও জায়গায় প্রতারণার কাজ শিখেছিল। কিন্তু এই দলটির সঙ্গে জামতাড়া গ্যাঙের যোগ নেই বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে তদন্তকারীরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দলটি শুধু জয়পুরের রাহুল বটব্যাল নয় এমন বেশ কিছু সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী