ইতিমধ্যে পুলিশ বেশ কিছু প্যাকেটের হদিশ পেয়েছে। এই প্যাকেটগুলোতে শ্রদ্ধার দেহের অংশগুলো রেখেছিল আফতাব। তবে সবকটি প্যাকেটের হদিশ এখনও পাননি তদন্তকারীরা। সোমবার সকালে একটি প্যাকেটের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। সেখানে শ্রদ্ধার চোয়াল এবং খুলির কিছু অংশ মিলেছে। সেগুলো টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার মাথার কোনও হদিশ মেলেনি। জেরায় অফতাব জানিয়েছে, কাছের একটি পুকুরে শ্রদ্ধার মাথা ফেলে দিয়েছিল সে। ওই পুকুরের জল তুলে ফেলার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই মাথার কোনও হদিশ মেলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতের আগেই জোর ধাক্কা, তৃণমূলের হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা!
পুলিশ জানিয়েছে, মে মাসের ১৮ তারিখ শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অফতাব। তারপরে গুগলে সে দেহ কীভাবে লোপাট করতে হয়, সেই সম্পর্কে খোঁজ নেয় অফতাব। নিজের লিভ-ইন পার্টনারের দেহ মোট ৩৫ টুকরো করে সে। তারপরে সেগুলি বিভিন্ন প্যাকেটে ভরে রাখে। দেহ যাতে পচে না যায় ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজও ব্যবহার করে আফতাব।
আরও পড়ুন, স্বাস্থ্যসাথী কারা নিচ্ছে না? অভিযোগ পেলে লাইসেন্স বাতিল, কড়া ধমক মমতার
ইতিমধ্যে আফতাবের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এই ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল বলে অনুমান। অফতাবের কাজের জায়গা থেকে কালো পলিথিনের হদিশ মিলেছে। সেই পলিথিনের সাহায্যে দেহের অংশ লুকিয়ে রাখত অফতাব। ৬ মাস পুরনো এই হত্যা মামলায় প্রথম থেকেই প্রমাণ জোগাড় করতে কিছুটা সমস্যা পেতে হচ্ছিল পুলিশকে।
