জানা গিয়েছে, কানপুরে ওই যুবকের নৃশংস হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রথমে শ্বাসরোধ করে, পরে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই যুবককে। এরপর তার শরীরের বিভিন্ন অংশও কেটে ফেলা হয়। এমনকী বাদ যায়নি তাঁর গোপনাঙ্গও।
আরও পড়ুন: সুস্থ হতে এসে আরও অসুস্থ হচ্ছেন একের পর এক রোগী, সরকারি হাসপাতালে মারাত্মক কাণ্ড!
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানও চালানো হচ্ছে। এসেছে ফরেনসিক দলও।
কানপুর মেট্রোপলিসের ঘাটমপুর কোতোয়ালি এলাকার তরগাঁও গ্রামের নোন নদীর তীরে ওই যুবকের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। মৃতের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেম সম্পর্কের জেরেই খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই যুবক। বছর ত্রিশের ওই যুবকের পরনে ছিল সাদা শার্ট ও সাদা প্যান্ট।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারে, ৪ মাস আগেই সাবধান করেন রেলকর্তা! করমণ্ডল-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
ঘাটমপুরের এসিপি দীনেশ কুমার শুক্লা জানান, স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের থেকেই খবর পায় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খোঁজ পেতে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
একই সঙ্গে মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। দেহ সনাক্তকরণের জন্যও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে মদের বোতল এবং জলের পাউচও। ফলে মনে করা হচ্ছে প্রথমে ওই যুবককে মদ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পরে আক্রোশবশত তাঁকে কোপানো হয়। খণ্ড খণ্ড করে দেওয়া হয় দেহাংশ।