স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্ডুয়ার হরাল মাঝের পাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় গুরাপের খানপুরের রেহেনা খাতুনের। এক বছর আগে পান্ডুয়ার মেলা পরিচয়, সেই থেকেই প্রেম। ২৫ অক্টোবর ২০২২ সালে দুজনেই রেজিস্ট্রি করেন।
আরও পড়ুন: এই লাল চাকতিতে গরু না ঘোড়া দেখছেন? ৩ সেকেন্ডে বোঝা যাবে আপনি কতটা জিনিয়াস!
advertisement
রেহানার অভিযোগ, প্রতিদিন নেশা করে বাড়ি ফিরত তাঁর স্বামী আমিরুল। নিষেধ করলে জুটতো গালিগালাজ ও মারধর। শ্বশুর-শাশুড়ি সৈয়দ আবু নাসের ও সৈয়দ আকতারা বেগমকে বলার পরেও তাঁরা একথা বিশ্বাস করত না, উল্টে বৌমাকেই দোষারোপ করত। এর পরেই একদিন স্বামীকে মাদক সেবন করতে দেখে ফেলেন স্ত্রী। অশান্তি চরমে ওঠে। গত ১১ মে দুপুরবেলা গুরাপ বেলতলা থেকে পান্ডুয়া নিয়ে আসার পথে রেহেনাকে ফেলে রেখে চলে যায় আমিরুল। সেই থেকে আর দুজনের দেখা হয়নি।
আরও পড়ুন: নাক টিপে ধরলেই সুরের মূর্ছনা, বাঁকুড়ার এই ব্যক্তিকে দেখলে চমকে যাবেন!
বুধবার বেলা তিনটের থেকে শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে ধরনায় বসে গৃহবধূ। সারারাত বাড়ির বাইরেই থাকতে হয় তাঁকে। ওই রাতেই রাত্রে দশটা নাগাদ বাড়িতে তালা বন্ধ করে বেরিয়ে যায় শ্বশুর-শাশুড়ি। খবর পেয়ে শুক্রবার পান্ডুয়া থানার পুলিশ হাজির হয় আমিরুলের বাড়িতে। সেখান থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রেহানা বলেন, ‘আমি চাই স্বামীকে নিয়ে সংসার করতে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না।’ রেহানার শ্বশুর সৈয়দ আবু নাসের ফোনে জানান, ‘ছেলে আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করেছিল। পরে আমরা জেনে মেনে নিই। এখন ওদের মধ্যে কী হয়েছে জানি না। ছেলের কোনও খোঁজ নেই। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও নেই।’
রাহী হালদার





