জানা গিয়েছে, মালদহের কালিয়াচক থানার অধীন গোলাপগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে ব্রাউন সুগার পাচার সংক্রান্ত খবর আসে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে নালদাহারি এলাকায় প্রফুল্ল মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে একটি কালো প্লাস্টিক ব্যাগে লুকনো অবস্থায় প্রায় ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
advertisement
এদিনই কালিয়াচক থানার জালুয়াবাঁধাল গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা গ্রামে হানা দেয় কালিয়াচক থানার পুলিশ। সেখানে একটি পরিত্যক্ত সাদা ট্যাক্সি আটক করা হয়। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই ট্যাক্সির পা দানিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ১৩০০ ( এক হাজার তিনশো) বোতল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ। তবে ওই গাড়ির মধ্যে কাউকে পাওয়া যায়নি। মালিকানা দাবি না করায় কাউকেই গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ। তবে আটক হওয়া বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপের বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় ওই ট্যাক্সি মালিকের নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এদিকে একই দিনে পরপর ব্রাউন সুগার এবং কফ সিরাপ উদ্ধারের ঘটনাকে নিজেদের সাফল্য বলে মনে করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, মালদহের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাকে বেশ কিছুদিন ধরেই মাদক পাচারের করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে একটি চক্র। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই মজুত করা হয়েছিল। এর পিছনে শক্তিশালী মাদকচক্রের হাত রয়েছে বলেও সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে এসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া়র আশা করছে পুলিশ।