আরও পড়ুনঃ সমুদ্রের জলে ভাসছে একটি বস্তা, খুলতেই যা বেরোল, আঁতকে উঠল সকলে!
দিনভর ওই মহিলা নিখোঁজ হলে প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে গিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এলাকার একজন মহিলা বলেন, ‘আমরা আশিসকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে তাঁর মা এক আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমাদের প্রতিবেশীদের একজন তাঁকে বাড়ির ভিতরে খুঁড়তে দেখে। তা দেখে সন্দেহ হলে সেই ব্যক্তি আশিসকে প্রশ্ন করে। আশিস তাঁর কাছে স্বীকার করেছে যে তিনি তাঁর মাকে বাড়ির ভিতরে সমাধিস্থ করেছে কারণ এটিই তাঁর মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল’।
advertisement
অন্য এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘আশিস মানসিকভাবে অসুস্থ। পুরো পরিবারের মানসিক সমস্যা রয়েছে। আশিসের বড় দুই ভাই মারা গেছে এবং সে তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকত। তাঁর মা অনেক রোগে ভুগছিলেন। আমি তাঁদের বাড়িতে কখনও কাউতে আসতে দেখিনি।”
আরও পড়ুনঃ ভাই যখন ভাইয়ের শত্রু! পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে চরম পরিণতি হল দুই ভাইয়ের
অভিযুক্ত আশিস পুলিশকে বলেছেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় আমার মা মারা যান। মৃত্যুর আগে সে আমাকে তার দেহ এই বাড়িতে রাখতে বলেছিল। তাই তাঁর মৃতদেহ বাড়িতেই সমাধি করেছি। মায়ের ডায়াবেটিস ছিল কিন্তু প্রেসার ওষুধ ছাড়া কোনও ওষুধ খেত না।” মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমতলি মহকুমা পুলিশ অফিসার আশিস দাশগুপ্ত জানান, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই আমরা সাধনা সরকারের মৃত্যুর সময় ও কারণ জানতে পারব। আমরা তাঁর ছেলে আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি’।