তারপর সব স্বীকার করে নেয় ছেলে ও মা। সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ছেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ । খাসমল্লিক এলাকায় রাস্তার পাশে আবর্জনা থেকে উদ্ধার হয় দুটো পা। উদ্ধার হয়নি কোমর ও দুটি হাত। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পুস্পা বলেন, মদ্যপ অবস্থায় বাবার নিয়মিত অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি ছেলে। ছেলের কাজে মদত দিয়েছে মা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাথরুমে বসে শ্রদ্ধাকে টুকরো করার ফাঁকে বিয়ার-সিগারেট খায় আফতাব, অর্ডার দেয় মুখরোচক খাবার!
গত ১৪ নভেম্বর ঘটনার সুত্রপাত্র। ওই সময় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তী মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। সেই সময় ছেলে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা বাবার কাছে চায়। কিন্তু বাবা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে উল্টে গালিগালাজ করে ছেলেকে। মা প্রতিবাদ করলে মাকেও গালিগালাজ দেয় উজ্জ্বলবাবু। এতে ছেলে রেগে গিয়ে গর্জে উঠে। উজ্জ্বলবাবু ছেলেকে চড় থাপ্পড় মারে। এরপরেই ছেলে ধাক্কা মেরে বাবাকে মাটিতে ফেলে দেয়। গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে দেয়।
আরও পড়ুন: এখনও উদ্ধার ১৩টি হাড়, মেলেনি খুলি! বাথরুমে বসে শ্রদ্ধাকে টুকরো করে মদ্যপ আফতাব
তারপর মা ও ছেলে ভাবে দেহ নিয়ে কী করবে। প্রতিবেশীরা যেন জানতে না পারে সেই সন্দেহও ছিল তাঁদের। এরপর দেহ বাথরুমে নিয়ে হ্যাক্সো করাত দিয়ে কাটে। ৬ টুকরো দুটি পা, কোমর, হাত, কোমর থেকে মাথা টুকরো করা হয়। তারপর বস্তা বন্দি করে সাইকেলে করে দেহের বিভিন্ন অংশ নানান জায়গায় ফেলে আসে। দেহের বাকি অংশ পাওয়া গেলেও কোমর ও দুটি হাত পাওয়া যায়নি। পুলিশ উজ্জ্বল বাবুর স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।
সুমন সাহা






