তখনই ওই যুবককে ধরে জোৎস্না বর্মণের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, যুবকের নাম অমর সাহানি। যুবককে কিছু মানুষ ওই বাড়িতেই বেঁধে রাখে। চেল কলোনির বাসিন্দা জোৎস্না বর্মণ অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। সোমবার সকালে বাড়িতে তালা মেরে কাজে বেরিয়েছিলেন। দুপুর ১ টা নাগাদ তিনি খবর পান তাঁর বাড়ির দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়ে গিয়েছে সব কিছু। এমনকী চোরও ধরা পরেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার সাইকেল সারাইয়ের দোকান, অভাবী হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে নিজেকে মেধাবী প্রমাণ দেবিকার!
তড়িঘড়ি কাজ ফেলে বাড়িতে ছুটে আসেন জোৎস্না বর্মণ। এসে দেখেন বাড়ির মধ্যে মানুষের ভিড়। তারপর ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারি ভাঙা। ঘরের সমস্ত জিনিস তছনছ। সোনার মালা এবং নগদ টাকা উধাও। অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে চুরি হওয়া এক হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু সোনার চেন এখনও পাওয়া যায়নি। চোর ধরাকে কেন্দ্র করে এদিন অন্য চিত্র দেখা গেল জোৎস্না বর্মণের বাড়িতে। তিনি আশপাশের লোকজনকে বলেন, কেউ ওই যুবককে মারধর করবেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি চাই আমার যা ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করুক এই যুবকের বাড়ির লোক।’
আরও পড়ুন: দিল্লিতে নাবালিকাকে কুপিয়ে-থেঁতলে খুন, ব্যস্ত রাস্তায় চূড়ান্ত নৃশংসতা দেখে কেউ এগিয়ে এল না!
জোৎস্না বর্মণ এদিন নিজের বাড়ির বারান্দায় ক্ষুধার্ত চোরকে খেতেও দেন। মাছের ঝোল, কচুর শাক, ডাল, লাউ চিংড়ি দিয়ে ওই বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সাড়ে অভিযুক্ত চোর ওই যুবক। জ্যোৎস্না বর্মণ বলেন, ‘এই যুবকের ক্ষিদে পেয়েছে দেখে আমার খাবারই তাকে দিয়ে দিলাম। সে সুস্থ থাকুক কিন্তু আমার সোনার চেন যেন ফিরিয়ে দেয় তার বাড়ির লোক।’ পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করিয়ে একটি ছোট্ট ঘরে আটকে রাখা হয় চোরকে। যতক্ষণ চোরের বাড়ির লোক এসে ক্ষতিপূরণ না দিচ্ছে ততক্ষণএই চোরকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।
সুরজিৎ দে






