স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীবের সঙ্গে গোপালনগর থানা এলাকার এক ২৬ বছরের গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে। তারপর থেকেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দু'জনে। তবে ওই মহিলা যে বিবাহিত তা কখনওই জানাননি রাজীবকে। অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার বনবনিয়া রামকৃষ্ণ পল্লিতে রাজীব সরকারের বাড়ি হলেও, কর্মসূত্রে সৌদি আরবে কর্মরত ছিল সে।
advertisement
আরও পড়ুন: অতি ঘনীভূত নিম্নচাপ, দুর্যোগ মোকাবিলায় কাকদ্বীপে খুলল ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ দিনের ছুটি নিয়ে এই সম্পর্কের জন্যই বাড়ি এসেছিল রাজীব সরকার। ঘটনাচক্রে, দু'দিন ধরে যুবকের ফোন বন্ধ থাকায়, গোপালনগর থানার পাল্লা গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ রাজীবের খোঁজ করতে পাড়ায় আসেন। তখনই স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে উঠে আসে আসল সত্য। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী ও সন্তান রয়েছে। পূর্বে আরও একটি বিবাহের সম্পর্ক ছিল তার। রাজীবের সঙ্গে ফোনে কথা হতো। নিজেদের মধ্যে সম্পর্কে থাকাকালীন নানা বিষয়ে সমস্যা তৈরি হলেও তা মিটে যেত বলেও জানান ওই গৃহবধূ। প্রেমের সম্পর্কের কথা বলে রাজীবের থেকে বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নেয় ওই গৃহবধূ, এমনই অভিযোগ করা হয় মৃত যুবকের পরিবারের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন: অণ্ডকোষের পর ফিসচুলার সমস্যা, অনুব্রতর বাহারি ডায়েট চার্ট! কী কী তালিকায়?
বিয়ের কথা গোপন করে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পরিণতিতেই মৃত্যু বলে অভিযোগ তুলেও ওই গৃহবধূর ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় কয়েকজন মহিলারাও মারধর করেন ওই গৃহবধূকে। এরপরই খবর যায় অশোকনগর থানায়। দ্রুত অশোকনগর থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ওই গৃহবধূকে। গৃহবধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে, যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্ত হোক চাইছেন এলাকাবাসী। উঠে আসুক আসল সত্য, চাইছে মৃত যুবকের মা ঊষা সরকার। ইতিমধ্যেই ওই গৃহবধূকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ বলেই সূত্রের খবর। ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
রুদ্র নারায়ণ রায়