পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগের রাতে ১৯ মে, ভোর ৪.৫০ মিনিটে এক বন্ধুকে মেসেজ করেছিলেন পার্থ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, 'ভাই, আমি যাচ্ছি, তুমি সাবধানে থেকো।' যতক্ষণে ওই বন্ধু সেই মেসেজটি দেখেছিলেন, ততক্ষণে শেষ পদক্ষেপ করে ফেলেছিলেন পার্থ। দুপুর ১২.০১ মিনিটে বন্ধু প্রত্যুত্তর দিয়েছিলেন পার্থকে। গত ১৩ মে ওই বন্ধুকেই ৩ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন পার্থ। ওই মেসেজের আগেই তা নিয়ে কথোপকথন হয়েছিল তাঁদের। শেষ পার্থকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেসেজ করেছিলেন ওই বন্ধুটি।
advertisement
শুধু এই বন্ধুকেই নয়, ভোর ৪.৫৪ মিনিটে পার্থ আরও এক বন্ধুকে মেসেজ করেছিলেন। সেই মেসেজে ২৮ বছরের পার্থ লিখেছিলেন, 'দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিও, যদি আমি কখনও তোমাকে দুঃখ দিয়ে থাকি।' সকাল ৬.২৬ মিনিটে ওই বন্ধু পার্থকে প্রত্যুত্তর লিখেছিলেন, 'কী হয়েছে ভাই?' ৭.০৪ মিনিটে পার্থ তাঁকে আবার লিখেছিলেন, 'কিছু না, শুধু চলে যাচ্ছি।' ৪.৫৬ মিনিটে আরও এক বন্ধুকে পার্থ লিখেছিলেন, 'গুড বাই ভাই'। যদিও সেই মেসেজে কী হয়েছে জানতে চাওয়ার কোনও উত্তর আর পাওয়া যায়নি।
পার্থর বেসরকারি ওই সংস্থাটি উত্তর প্রদেশ সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া সামলানোর দায়িত্বে রয়েছে। বৃহস্পতিবার লখনউয়ের ইন্দিরানগরের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃত পার্থর দেহ উদ্ধার করা হয়। 'বাসিল' নামের ওই কোম্পানির কর্মী ছিলেন পার্থ। সুইসাইড নোটে পার্থ তাঁর সিনিয়র সহকর্মী পুষ্পেন্দ্রর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। এবং তার জন্যই পার্থ আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখেছেন। যে নোটটি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
পার্থ নিজের চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে উল্লেখ করে, অফিসে দলবাজি ও রাজনীতির শিকার হওয়ার কথা লিখেছেন। তিনি সুইসাইড নোটে লিখেছেন, 'এটা খুন। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তারা হলেন শৈলজা ও পুষ্পেন্দ্র সিং। যিনি শৈলজাকে সাহায্য করেছেন।' যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে পার্থর নোটটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
