বাস ভাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই রেগুলেটরি কমিটি তৈরি করছে। সেই কমিটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বাস সংগঠনের কাছে টিকিট ও স্টেজ প্রতি নানা তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।সেই তথ্য বিশ্লেষণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাস চালানো অসুবিধা হয়ে পড়েছে মালিকদের। আজ তেলের দাম বেড়েছে ৫৭ পয়সা। গতকাল বেড়েছিল ৫৩ পয়সা। শনিবার বেড়েছিল ৫৩ পয়সা। শুক্রবার বেড়েছিল ৫৪ পয়সা। গত সাতদিনে প্রায় তিন টাকা দাম বেড়েছে জ্বালানির। এই অবস্থায় পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়।
advertisement
বাস-মিনিবাস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বোস সহ মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এদিন গিয়ে দেখা করেন রেগুলেটরি কমিটির সদস্যদের সাথে। সেখানে তারা ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে নিজেদের দাবি জানান। বাস সংগঠনের নেতা প্রদীপ নারায়ণ বোস জানান, "সরকারের অনুরোধে আমরা রাস্তায় বাস নামিয়েছি। কিন্তু ৯ তারিখের পর থেকে অবস্থা বদল হয়েছে। জ্বালানীর দাম যে ভাবে বেড়েছে তাতে আর বাস চালানো সম্ভব নয়। আগামী দু'দিনের মধ্যে সরকার ব্যবস্থা না নিলে আমাদের পক্ষে আর বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়। তবে আমরা বলছি না বাস নামাব না। বাস মালিকরাই আর খরচ সামলাতে পারছেন না।"
প্রদীপবাবুদের সংগঠনের প্রায় ৭০০ বাস ও মিনিবাস রাস্তায় চলছে। এদের বক্তব্যে সহমত বাকিরাও৷ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, "একদিকে যাত্রীর অসুবিধা, অন্যদিকে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া। আমাদের খরচ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই ভাবে দীর্ঘদিন বাস চালানো আর সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে।" যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা সমাধানে রাস্তায় নেমেছে প্রচুর সরকারি বাস। যদিও সমস্যা মিটেছে এমনটা নয়। ফলে একদিকে ভাড়া বাড়ানোর চাপ ও অন্যদিকে বাস কমে যাওয়ার চাপ। যার জেরে সমস্যায় পড়তে পারেন বাস মালিকরা। সূত্রের খবর, সমস্যা সমাধানে আগামী পরশু বাস মালিকদের সংগঠনের সাথে বৈঠকে বসতে পারেন বিভিন্ন বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
Abir Ghosal