News18 কথা বলেছে চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের সঙ্গে ৷ এমনই দিল্লির সরকারি হাসপাতালের নার্স জানিয়েছেন ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁদেরকে কার্যত অস্পৃশ্য করে দেওয়া হয়েছে ৷ এটা অন্য কোথাও হচ্ছে তা নয় একেবারে যে হাসপাতালে তারা কাজ করছেন সেখানেই হচ্ছে ৷
‘১৪ দিনের একটানা শিফটের পর তাঁদের প্রত্যেকের রক্তের স্যাম্পেল কালেক্ট করা হচ্ছে ওরা নির্দিষ্ট কিছু টয়লেট ও ওয়াশবেসিন ব্যবহার করছেন ৷ সিনিয়র চিকিৎসকদের এরপর টানা ১৪-১৫ দিনের ছুটি দেওয়া হচ্ছে অন্যদিকে আমাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে ফের কাজে যোগ দিতে হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সিনিয়রদের সংখ্যা খুব কম দেখা যাচ্ছে ৷ আমাদের এক সহকর্মী পজিটিভ আসায় তাঁকে হাসপাতালের বাইরে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল, সে একাই বসেছিল ভর্তি হওয়ার আগে অবধি ৷ ’
advertisement
নিজের স্ত্রীও পিঙ্কি গৌতমের ব্লাডস্যাম্পেল পজিটিভ হয় ৷ তিনি তাঁর নিজের হাসপাতালে আইসিইউয়ের দায়িত্বে থাকা রোগিদের দেখেছিলেন ৷ তাদের একজন করোনায় মারা ়যান ৷ পিঙ্কির রিপোর্ট আসার ২৪ ঘণ্টা পরে হাসপাতাল তার জন্য বেড দিতে পেরেছে ৷
ডি কে গৌতম নামের সেই স্বাস্থ্য কর্মীর সরাসরি অভিযোগ তাদের কোনও করোনা যোদ্ধা নয় একেবারে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকদের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এছাড়াও তিনি উদাহরণ দিয়েছেন একাধিক নার্স যাদের মধ্যে সংক্রমণের হালকা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ১৫ দিন পরেও অনেকক্ষেত্রে তাদের টেস্ট করা হচ্ছে না ৷ পাশাপাশি তাদের বক্তব্য পরীক্ষা করার পরেও যেখানে ৩-৪ দিন লাগে রিপোর্ট আসতে ৷
করোনা আক্রান্ত রোগিদের যাঁরা স্নান করাচ্ছেন বা অন্য সেবাযত্ন করছেন তাদের পিপিই পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না ৷ তাঁরা যখন চিকিৎসক বা নার্সদের কাছে সেটা চাইছেন তখন তাদের ব্যবহার করা পিপিই তাদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷
এদের অনেকেই মাত্র ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা পান, তারা ভীত হয়ে আছেন এর পরেও হয়ত তারা আর কাজ করবেন না৷