উত্তর দিনাজপুর জেলায় ১৮ উর্দ্ধে জনসংখ্যা ২১ লক্ষের বেশি। দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিন নিতে অনীহা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ভ্যাকসিন নিতে সাধারণ মানুষের হিড়িক পড়ে যায়। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইতিমধ্যে ১লক্ষ ৬৭ হাজার মানুষকে করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৬২ হাজার ১২৪ জন মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি। দ্বিতীয় ডোজ না পেলে প্রথম ডোজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই জেলায় যে পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ হচ্ছে তাতে দ্বিতীয় ডোজ দিতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া অ্যাপ দেখেই জেলায় ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে বহু মানুষ এই অ্যাপে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌতম মন্ডল জানিয়েছেন, জেলায় করোনার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেবার কাজ চালু থাকলেও প্রথম ডোজ দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না আসার কারণে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কবে সাধারণ মানুষ এই প্রথম ডোজ পাবেন তার কোন দিন তারিখ জানাতে পারেননি।
এদিকে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ভ্যাকসিন পেতে বাসিন্দারা হন্য হয়ে হাসপাতালে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। যেভাবে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে ভ্যাকসিন না পেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েকগুন বেড়ে যাবার আশঙ্কা থাকছে। করোনা ভ্যাকসিন কবে পর্যাপ্ত আকারে সরবরাহ হয় সেদিকে তাকিয়ে জেলার মানুষ৷