গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সে বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কমিশনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের চিঠিতে। মোদি সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের পাশাপাশি নোটিশ পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও বিহার সরকারের মুখ্য সচিবদেরও। এক মাসের মধ্যেই এই নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনার খতিয়ান মানবাধিকার কমিশনে জমা দিতে হবে তাদের।
advertisement
এদিকে বিহার থেকে যাতে এ রাজ্যে মৃতদেহ না আসতে পারে তার জন্য উদ্বিগ্ন রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ বিহারের মুখ্যসচিবকে ফোন করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। বিহার থেকে গঙ্গায় যাতে মৃতদেহ না আসতে পারে তার জন্য বিহারের মুখ্য সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এমনটাই সূত্রের খবর। গতকালই মালদা জেলা শাসককে সতর্ক করা হয়েছে যদি কোন মৃতদেহ ভেসে আসে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। গঙ্গা দিয়ে মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে রাজ্যের। তার জন্যই এবার বিহারের মুখ্য সচিবকে ফোন বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে নদীতে ফেলে দেওয়া করোনা আক্রান্ত দেহ নদীপথে ভেসে আসছে, এমন সতর্কতার পরেই মালদহে দেহ উদ্ধারের সবরকম ব্যবস্থা করে রাখল প্রশাসন। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে গঙ্গা নদীতে বিশেষ নজরদারি। নৌকো এবং স্পিডবোটের সাহায্যে গঙ্গায় নজর রাখছে পুলিশের বিশেষ দল।
একইসঙ্গে গঙ্গায় জেলে মাঝিদেরও সতর্ক করা হয়েছে। তবে, বর্ষার মরশুম এখনও দেরি থাকায় এই মুহূর্তে গঙ্গায় জলস্তর বেশ কম। একইসঙ্গে গঙ্গার জলের স্রোতও বেশি নয়। ফলে দীর্ঘ কয়েক শো কিলোমিটার নদী পথ পেরিয়ে কখন বা কবে ওই দেহগুলি মালদহে এসে পৌঁছাবে বা আদৌ মালদহে আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছেন খোদ নদীপাড়ের বাসিন্দারাই।নদীপথে ঝাড়খন্ড থেকে মালদহের মানিক তোকে করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ গঙ্গায় আসতে পারে বলে গত বুধবারই রাজ্য প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয় মালদহ প্রশাসনকে এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই নদীতে নজরদারির পাশাপাশি দেহ উদ্ধারের বন্দোবস্ত থেকে শুরু করে কোন মৃতদেহ মিললে কোথায় কিভাবে কাজ করা হবে, তারও পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলে প্রশাসন।